নিজস্ব সংবাদদাতা: মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ছাড়া হল জল। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে জলাধারে জলের পরিমাণ বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তাই সেই জন্যেই জল ছেড়েছে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে।
গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে, মুকুটমণিপুর জলাধারে হু হু করে বেড়েছে জল স্তর। তাই এবার জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল সেচ দফতর। মুকুটমণিপুর জলাধারের নিম্ন অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এরপরই৷ তবে জল ছাড়া দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকেরা। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টির ফলে বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুর জলাধারে বেড়েছে জল স্তর। সে কারণে এবার জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়ার কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ কংসাবতী জলাধার থেকে কংসাবতী নদীতে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তবে বৃষ্টির পরিমান বাড়লে দফায় দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ।
কংসাবতী সেচ দপ্তরের মুকুটমনিপুর জলাধারে জল ধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট, এর মধ্যে দুই দিনের টানা বর্ষণে ৪৩৪.৪০ ফুট উচ্চতায় জল রয়েছে জলাধারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ। তবে এই জল ছাড়া হলে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে বাসিন্দারা অনেকেই মনে করছেন। তবে মুকুটমণিপুরে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা জল ছাড়ার মনোরম দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পেরে খুশি। সোমবার সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমেছে। আর অন্যদিকে এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে সেচ কর্তৃপক্ষ।