নিজস্ব সংবাদদাতা : ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবার অমর্ত্য সেনের জমি মামলার কোনো মোড় নয়, এক আদিবাসী ছাত্রী মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। যার জেরে বিপাকে বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি উপাচার্যের রিপোর্ট পর্যন্ত তলব করা হয়েছে।
অভিযোগকারী ছাত্রীর নাম পাপিয়া মাড্ডি। তিনি হুগলির হরিপাল থানার চক চণ্ডীগর থানার বাসিন্দা। বিশ্বভারতীর শিক্ষাবিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন তিনি। পরে এমফিলও করেন। গবেষণার জন্য তিনি শিক্ষা বিভাগে আবেদন জানালেও তফসিলি উপজাতির সংরক্ষণ অনুযায়ী মেধা তালিকায় এক নম্বরে নাম ছিল তাঁর। কিন্তু অভিযোগ, নানান অজুহাতে গবেষণায় নেওয়া হয়নি তাকে। বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই ওই আবাসিক ছাত্রীর প্রশ্ন, কেন তাকে বাদ দেওয়া হল? এই মর্মে তিনি চিঠি লেখেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব, বিভাগীয় প্রধানকে। তিন চারটে চিঠি দিলেও একটি চিঠিরও কোনো উত্তর আসেনি বলে দাবি ছাত্রীর। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও এক অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনে বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দেন পাপিয়া। তারপরই নড়ে চড়ে বসে কমিশন। উপাচার্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ না করলে ৩৩৮এ ধারায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সমন জারি করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সেরকমটা ঘটলে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে উপাচার্যকে।