ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্ন মানের খাবারের অভিযোগ!

কেঁচকাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রসূতি মহিলা সহ মোট ২৪ জনকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়।সেই ২৪ জনের জন্য খাবারে দেওয়া হয় নাম মাত্র কিছু সব্জি। শনিবার সকালে এলাকার মানুষজন হাতে নাতে ধরে ফেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত কর্মী ও ইনচার্জকে।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
food mid day meal.

কেঁচকাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদনীপুর : নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেন্টারে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী।  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের।


ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৩ নং কেঁচকাপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অভিভাবক থেকে এলাকার মানুষদের অভিযোগ,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রসূতি মহিলা সহ মোট ২৪ জনকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়।সেই ২৪ জনের জন্য খাবারে দেওয়া হয় নাম মাত্র কিছু সব্জি। শনিবার সকালে এলাকার মানুষজন হাতে নাতে ধরে ফেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত কর্মী ও ইনচার্জকে।আর এতেই গন্ডগোল বাধে।  কেন্দ্রের কর্মীদের সাথে শুরু হয়ে যায় বচসা-বিবাদ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,বিভিন্ন সময় চালে পোকা বেরোয়,ভালো করে রান্নার চাল না ধোয়ার করণে পোকা অবস্থাতেই সেই চাল রান্না করা হয়,যার জেরে মাঝে মধ্যেই রান্না করা খাবারেও পোকা পাওয়া যায়। তা ফেলে দিতে হয়।এমনকি প্রতিনিয়ত শিশুদের জন্য রান্না করা খাবারে নাম মাত্র সব্জি দেওয়া হয়।এই বিষয়ে আজ সকাল থেকে এলাকার মানুষজন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এবং কেন এমন পরিস্থিতি তা কেন্দ্রের কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।রেখা ঘোষ নামে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ইনচার্জ উল্টে অভিভাবক ও এলাকার মানুষদের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং বচসায় জড়ান। যদিও কেন্দ্রের ইনচার্জ রেখা ঘোষ দাবি করেন, তিনি এই সেন্টারে স্থায়ী নন। তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সেন্টারটি দেখভালের জন্য,তিনি অপর একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা বলে জানান। দুটো সেন্টারের দেখভাল তাকে করতে হয় বলে তিনি দাবি করেন।তবে সেন্টারে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার বিষয়টি তিনি মানতে চাননি।তবে চালে পোকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা মানতে চাননি। তিনি বিষয়টি মানতে না চাইলেও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মৌ মণ্ডল অবশ্য তা স্বীকার করে নিয়ে কেন্দ্রের ইনচার্জ ও কর্মীকে আরও সংযম হওয়ার কথা বলেন।তিনি বলেন,'গাফিলতি হয়ে থাকলে বিক্ষোভ দেখানোর কিছু নেই,বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়।' তবে সেন্টার ইনচার্জের এতো উত্তেজিত হওয়া ঠিক না বলে জানান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা।এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গন্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে যান বান্দিপুর ১ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার অচিন্ত্য সিং।তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গন্ডগোল-বিক্ষোভ নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে এবং শেষমেশ তৃণমূল নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন,অভিযোগের সত্য যাচাইয়ে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকে নজর সকলের।