নিজস্ব সংবাদদাতা, পাণ্ডবেশ্বর: খনি অঞ্চলে ধসের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা এলাকাবাসীর। চলতি মাসেই অন্ডালের দুটি জায়গায় পর পর ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। এবার আবার সেই ধসের ঘটনা ঘটলো পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম গ্রামের মুসলিম পাড়ায়। একেবারে ঘরের মেঝেতে বড় আকারের দুটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বাড়ির মালিক ছবি খাতুন, শেখ রসু জানান, বুধবার রাতে হটাৎ করে একটা শব্দ হয় তারপরই দেখা যায় ঘরের মেঝেতে দুটি জায়গায় বড় আকারের দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সিরাজ। তিনি বলেন, '' গতকাল রাত্রে তিনি খবর পেয়েই ছুটে আসেন এলাকায় এবং ধস কমলিত আতঙ্কিত পরিবারের সকলকে এলাকার একটি আইসিডিএস কেন্দ্রের স্থানান্তরিত করে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন ইসিএল এর সোনপুর বাজারি প্রোজেক্টের কয়লা উৎপাদনের জন্য যে ব্লাস্টিং হয় তার জেরেই আজ গ্রামের এই সংকটময় পরিস্থিতি। ''
পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সিরাজ জানান ' ধসের খবর পাওয়া মাত্র পরিবারটিকে আইসিডিএস সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ' তিনি অভিযোগ করেন ' বসতি এলাকার খুব কাছে রয়েছে ইসিএলের সোনপুর বাজারি প্রকল্পের খোলা মুখ খনি। সেখানে দিনের অধিকাংশ সময় ব্লাস্টিং করা হয়। যার ফলে গোটা এলাকাটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বছর দুয়েক আগে নবগ্রাম ফুটবল মাঠেও ধসের ঘটনা ঘটেছিল। ' তিনি আরও বলেন ' সম্প্রতি নবগ্রাম গ্রামের অধিকাংশ জায়গা ইসিএল সিবি অ্যাক্টে অধিগ্রহণ করেছে। পুনর্বাসন না দিয়েই খাতা-কলমে এখন জমির মালিক ইসিএল। '
বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে সিরাজ বলেন শেখ রাসুর বাড়িতে ধসের ঘটনাটি সোনপুর বাজারি প্রজেক্টের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। এখনো তারা কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। বিকেলের মধ্যে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে না এলে পরিবারটিকে নিয়ে এলাকাবাসীরা সংস্থার এরিয়া অফিসের সামনে ধর্নায় বসবে, প্রয়োজনে খনির কাজ বন্ধ করে বৃক্ষ বেশামিল হবেন গ্রামবাসীরা বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।