নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ছিল গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন। তার আগে ৯৪ জন মৎস্যজীবীর দেশে প্রত্যাবর্তনের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সকল মৎস্যজীবীকে গত তিন মাস ধরে আটক করে রেখেছিল বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন। তারপর বহু আলাপ-আলোচনার পর সেই সকল মৎস্যজীবীকে আজ দেশে ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশ। সেই জন্যেই একটি মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে মুক্ত মৎস্যজীবীদের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সাথে কথা বলেন, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বিস্ফোরক দাবি করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলাদেশের পুলিশ বহু মৎস্যজীবীকে আটক করে রাখার সময় মারধর করে। আজ যারা মুক্ত হয়ে এখানে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে বহুজনই খুঁড়িয়ে হাঁটছে। আর সেই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েই নাকি মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তাঁদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। অনেক সময় মারধর করা হয়েছে”।
এদিন সেই জন্যেই মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক ডঃ পি উলগানাথন, মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এবং ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাঘারিয়াকে দায়িত্ব দেন তাঁদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। যাতে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়, সেই দিকটা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর সাথেই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “যখন তাঁদের মৎস্যজীবীরা দিক ভুলে ভারতে চলে এসেছিল, তখন তাঁদেরকে আমাদের প্রশাসন সাহায্য করেছিল। ঐ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ওপর কোনও রকম কোনও অত্যাচার করা হয়নি। তারা স্বসম্মানে বাড়ি ফিরেছিলেন”। কার্যত এদিন এই ভাবেই বাংলাদেশকে শিক্ষা দিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।