নিজস্ব প্রতিনিধি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে আর সেই কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করলে মা ও শিশু দুজনকেই বাঁচানো যেত, এমনটাই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও সিআইডি। তদন্তকারীদের রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সহ ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল। তারপরই ক্ষোভ সৃষ্টি হয় চিকিৎসকমহলে। মেডিকেল কলেজে আন্দোলনে বসে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি ছিল, তাদের কোনও দোষ নেই। সিনিয়রদের নির্দেশ মতোই কাজ করে তারা। তারা প্রথম থেকেই দাবি করে, আরএমও-র উপস্থিতিতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র।
প্রসূতি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার বা স্বাস্থ্য দপ্তর। গত শনিবার মেদিনীপুরে এক নাগরিক সভায় উপস্থিত হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছিল রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে। তিনি বলেছিলেন, "মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ্যে আনুক। আসলে নিজেদের দায় ঢাকতে চিকিৎসকদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।" সোমবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়াম থেকে মেদিনীপুরের জুনিয়র ডাক্তারদের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন তুলে নিচ্ছি।" সাসপেনশন ওঠায় খুশি জুনিয়র চিকিৎসক শ্বেতা সিং, পূজা সাহা, সুশান্ত মণ্ডল, মৌমিতা মণ্ডল, ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, জাগৃতি ঘোষ, মণীশ কুমাররা। সাসপেনশন প্রত্যাহারের পাশাপাশি বাড়লো ভাতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।