নিজস্ব সংবাদদাতা : গাইঘাটায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা, যা নিরাপত্তা এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি গভীর প্রশ্ন তুলেছে। ছাত্রীর অভিযোগ, টিউশনে যাওয়ার পথে তাকে জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা যুবসমাজের নিরাপত্তার প্রতি একটি বড় সংকট চিহ্নিত করে।
পরিবার সূত্রে খবর, ধর্ষণের পর অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতা ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। এমন ভয়ঙ্কর হুমকি সাধারণত ধর্ষণের মতো ঘটনার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়, যাতে ভিক্টিমকে চুপ করে রাখা যায়। এসব হুমকির চাপ এতটাই বেশি ছিল যে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে, যা এই অভিজ্ঞতার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি স্পষ্ট করে। এছাড়া, অভিযুক্তের পিসি নাকি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে রফার চেষ্টা করেছে। অভিযুক্তের পিসি তৃণমূল নেত্রী, দাবি নির্যাতিতার মায়ের।
এ ধরনের আচরণ বিচার এবং দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে এক ভয়ঙ্কর উদাহরণ, যা ভিক্টিমদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি, বিশেষ করে অভিযুক্তের পিসি যিনি ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী দাবি করেন, পরিস্থিতিটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। রাজনৈতিক সংযোগগুলো জনমতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যা বিচার পাওয়ার সম্ভাবনাকে সংকটময় করে তোলে।
এই ঘটনা নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি বৃহত্তর প্রবণতার অংশ, যা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এটি নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থা এবং সামাজিক মনোভাবের পরিবর্তন প্রয়োজন।