যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মারধরের অভিযোগ অটোচালকদের বিরুদ্ধে

এলাকায় ছড়ালো উত্তেজনা।

author-image
Adrita
New Update
এ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুর শহরে যাত্রীর দখল নিয়ে অটো ও টোটো চালকদের বিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে কুইকোটার রাস্তা থেকে টোটোচালকরা যাত্রী তুলতেই অটো চালকরা গিয়ে বাধা দেয়। তা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।  সেই সংঘর্ষে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আশেপাশের দোকানদাররা। তারপরেই অটো চালকেরা ওই দোকানদারদের ওপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় দোকানদারদের। তছনছ করে দেওয়া হয় জিনিস।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। সূত্রের খবর, যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে অটো এবং টোটোচালকদের মধ্যে বিবাদ এর আগেও একাধিকবার ঘটেছে। কিন্তু তা নির্মূল করতে যে এখনও পর্যন্ত পারেনি প্রশাসন, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল তারা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ' এক টোটোচালক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীকে টোটোতে তোলার পরেই দূর থেকে এসে এক অটোচালক তাকে বাধা দেয়। টোটো থেকে প্যাসেঞ্জার নামিয়ে তর্ক, বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই চালকের মধ্যে। সেই সময় পাশে থাকা কয়েকজন দোকানদার টোটোচালকের হয়ে অটো চালকের বিরুদ্ধে কথা বলে বলে দাবি অটো চালকদের। একই সাথে অটোর কাঁচ ভাঙচুর করে অটো চালককে মারধর করা হয়। সেই মুহূর্তে দূরে কর্তব্যরত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামালও দিয়েছিল। পুলিশ চলে যেতেই একদল অটোচালক পুনরায় সেখানে হাজির হয়। অতর্কিতে ফের সংঘর্ষ শুরু হয় সেখানে। বেধড়ক ভাঙচুর চালানো হয় দোকানগুলিতে। মারধর চলে দোকানদারদের ওপরে।

ঘটনার সংঘর্ষের মুহূর্তের ভিডিও এখন ভাইরাল। এরপরেই তারা মেদিনীপুর শহরে প্রবেশের ওই রাস্তা অবরোধ করে দেয়। আক্রান্ত পানদোকান ব্যবসায়ী অপু চক্রবর্তী বলেন, " ওরা যাত্রী তোলা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষ শুরু করেছিল। বিষয়টা দোকানের সামনে অস্বস্তিকর মনে হচ্ছিল। তাই আমরা দুই পক্ষকেই ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। কিন্তু তাতেই প্রথমে গালাগাল পরে অতর্কিত আক্রমণ হয় আমাদের ওপরে। এটা তীব্র বিরোধীতা ও নিন্দা করছি আমরা। "

স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালী ব্যানার্জি বলেন, " এর আগেও অটো চালকেরা এমন কাণ্ড করেছে। টোটো চালকেরা যাত্রী তুললেই তারা সেখান থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়। এর জেরে আগেও অশান্তি হয়েছে। তবে আজকে যা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। আমরা পুলিশকে বলেছি দোষী আক্রমণকারীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে। "

এই বিষয়ে অটো ইউনিয়নের সম্পাদক সিরাজ আলি বলেন, " অটোর রুটে এভাবে টোটো যাত্রী তুলতে পারবে না সেটা আগেই বলা আছে। এটার প্রতিবাদ করেছিলেন অটোচালক। তাতেই পাশে থাকা দোকানদারদের একজন এসে অটোচালককে মারধর করে, অটোর কাঁচ ভেঙে দেয়। অটো চালক ও টোটো চালকের মধ্যে সমস্যা ছিল। কিন্তু দোকানদাররা এসে সংঘর্ষটা বাঁধিয়েছে আক্রমণ করে। এমনকি অটো ভাঙার পর অটো থেকে চালককে নামিয়ে মারধর করেছে স্থানীয় দোকানদাররা। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানাতে এই অটোতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় এক দোকানদারকে আটকও করেছে। পরে দোকানদারকে বোঝাতে গিয়েছিল কয়েকজন চালক যে আপনারা কেন মাঝখানে এসেছিলেন ? উল্টে তারা ফের আক্রমণ করে অটো চালকদের ওপরে। আমাদের অটো চালকদের ওপর ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। "