দিগ্বিজয় মাহালি, মেদিনীপুরঃ ২৭ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার অর্থাৎ আজ ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই ধর্মঘট ঘিরে অশান্তি মেদিনীপুরে। সকাল থেকেই বেরোলো না বেসরকারি বাস। তবে নিরাপত্তায় মোড়া ছিল বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকা। তবুও ঝুঁকি নিতে রাজি নন বাস চালকরা। দুপুর নাগাদ বেসরকারি বাস বের হলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল বিজেপির জেলা কার্যালয়ের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। বনধের সমর্থনে মিছিল বেরোনোর পরই বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের। বেশ কয়েকজন মহিলা সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যদিও বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শুরু করেছিলাম। পুলিশ এসে বাধা দিয়ে আটক করেছে। এদিন সকাল থেকে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস সেভাবে বের না হলেও দুপুর নাগাদ একটি বাস গোলাপীচক দিয়ে যাতায়াত করছিল। সেই সময় বনধ সমর্থকরা বাস আটকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ভক্তা প্রামানিক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। পাশাপাশি বনধের বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূল। মেদিনীপুর শহর ছাড়াও মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া এলাকাতেও মিছিল করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলকে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে সুস্থ পরিবেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। মানুষ এই কর্মনাশা বাংলা বনধকে প্রত্যাখ্যান করেছে।"