ছোট্ট এক শিশু কন্যা। ছোট্ট বয়সেই নিজের মেধার জোরে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তাকে নিয়ে আলোচনা ঝাড়গ্রাম জুড়ে। বয়স তিন বছরও হয়নি। একরত্তি বড় বয়সে কি করবে সেটাই দেখার।
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : এত ছোট বয়সেই এত মেধা! বড়রা যেখানে অনেক কিছুই অনেকে মনে রাখতে পারে না সেখানে তিন বছরেরও কম বয়সী এক খুদে কিনা গড় গড়িয়ে বলে যাচ্ছে A থেকে Z,এক থেকে পঞ্চাশ! স্পষ্ট করে কথা না বলতে পারলেও আধো আধো কথাতেই বাজিমাত করছে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি শহরের বাসিন্দা আরাত্রিকা মাহাত। বয়স মাত্র ২ বছর ৮ মাস।এখনও স্কুলে ভর্তির বয়স হয়নি ছোট্ট মেয়েটির। অথচ কি জানে না সে। এইটুকু বয়সেই সে অনায়াসে চিনিয়ে দিতে পারে প্রায় ৫০টি দেশের জাতীয় পতাকা,ইংরেজি সাতদিনের নাম, বারো মাসের নাম ও ছয়টি ঋতুও গড়গড় করে বলে দেয় একরত্তি মেয়েটা। আর তার এই মেধার জেরেই সে অর্জন করেছে ইন্ডিয়া বুক ওফ রেকর্ড। তবে এর জন্য আরাত্রিকার বাবা প্রসেনজিৎ মাহাতর অবদান কম নয়।
এত ছোট বয়সে শিশুরা সাধারণত খেলাধূলা নিয়েই থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ঝাড়গ্রামের আরাত্রিকা।আরাত্রিকাও খেলতে ভালোবাসে। তবে ওর স্মৃতিশক্তি যে অন্যান্য শিশুদের থেকে অনেকটাই বেশি সেটা বুঝতে পেরেছিলেন আরাত্রিকার বাবা।খেলার ছলে মেয়েকে নানান জিনিস শেখাতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গত দিতে থাকেন আরাত্রিকার মা।মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, প্রায় ২০টি করে যানবাহন, চিকিৎসার সরঞ্জাম, শিশুদের খেলার সরঞ্জামের নাম শিখে নিয়েছে আড়াই বছরের আরাত্রিকা। এছাড়া ৪০টির ওপর জীবজন্তু, সবজি, ফলমূল সে চিনতে পারে। এমনকি ১২টি দেশের জাতীয় প্রতীক তাঁর মুখস্থ। এরকম আরও উদাহরণ আছে যা আরাত্রিকা সহজেই চিনে ফেলেছে। আরাত্রিকা নিজের গুনেই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে গোটা বেলপাহাড়ি জুড়ে।