নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দ্রকোনা: চন্দ্রকোনা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী শেড হকার ও দোকানদারদের দখলে। ফলে যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেই অপেক্ষা করতে হয়। বাসস্ট্যান্ডের মতো সরকারি জায়গায় এভাবে জবরদখল সরাতে কবে উদ্যোগী হবে প্রশাসন এই প্রশ্ন তুলছে বাসস্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী শেড দখলমুক্ত না হলে পৌরসভা ব্যবস্থা নেবে বলে দাবি পৌরসভার।
সরকারি জায়গা দখল করে দোকান বা হকারী বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা ও প্রশাসনের তৎপরতায় বুলডোজার নিয়ে রীতিমতো শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। সরকারি জায়গা বেদখল ও ফুটপাতে হকারি বন্ধে ইতিমধ্যে পৌরসভাগুলো মাইকিং করে প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করছে। চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌরসভা ইতিমধ্যে মাইকিং করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে সতর্কবার্তা দিলেও এখনও তেমন কোনো উদ্যোগ নজরে পড়েনি চন্দ্রকোনা পৌরসভার।
বহু বছর ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী শেড বেদখল হওয়া ঠেকাতে নিস্ক্রিয় চন্দ্রকোনা পৌরসভা। চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডটি। বিভিন্ন দুরপাল্লার বাসের যাতায়াত এই বাসস্ট্যান্ডের উপর দিয়ে। অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ড চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জবরদখলভাবে ব্যবসা শুরু করেছে বিভিন্ন হকার থেকে ঠেলাগাড়ি বা দোকান। তার উপর টোটো-ছোটো গাড়ির দৌরাত্ম্য বাসস্ট্যান্ডের জায়গায়। এর জেরে বাস চলাচল থেকে যাত্রী ওঠা-নামায় চরম সমস্যা। বাসস্ট্যান্ডের দুদিকে দুটি যাত্রী শেড আছে যেখানে বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য বসার ও দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ, বহু বছর ধরে এই দুটি যাত্রী শেডের ভিতরে গজিয়ে উঠেছে একাধিক দোকান থেকে লটারির ব্যবসা। ফলে সেই যাত্রী শেডে যাত্রীদের দাঁড়ানো বা বসা তো দূর, যাত্রী শেড সকাল-সন্ধ্যা অপ্রয়োজনীয় আড্ডার স্থলে পরিণত হয়েছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ যাত্রী থেকে বাসস্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষ। বাসস্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষের দাবি, একাধিকবার পৌরসভা থেকে পুলিশ প্রশাসন সবাইকে চিঠি দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী শেডের ভিতর দোকানদারদের জবরদখল সরানোর জন্য আবেদন করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। এদিকে
দোকানদাররা চাইছেন তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করুক পৌরসভা। যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, 'এক মাসের সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে সরিয়ে না নিলে পৌরসভা ব্যবস্থা নেবে। আমি বোর্ড অফ কাউন্সিলর মিটিং ডেকেছি। সেখানে জবরদখল, উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এর মধ্যে সরকারি জায়গা নিজেরা না ছেড়ে দিলে পৌরসভা ব্যবস্থা নেবে'। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত হয় নাকি পৌরসভা নিজে থেকে তৎপর হয়।