চাঁচলের রাজ ঠাকুর বাড়ি, পুজো চলে ১৭ দিন ধরে!

উত্তর মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার রাজা ছিলেন রামচন্দ্র রায়চৌধুরি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
mjkkkol

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সতী ঘাটে ঘট ভরে কৃষ্ণা নবমী তিথি থেকে শুরু হল মালদহের চাঁচলের রাজ ঠাকুর বাড়ির সিংহ বাহিনীর পুজো। আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে, একসময় যা রাজার পুজো ছিল এখন তা হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের পুজো। রাজবাড়ির একটি অংশে তৈরি হয়েছে মহকুমা আদালত। আর একটি অংশে এখন কলেজ। কিন্তু ঐতিহ্যের গরিমায় আজও উজ্জ্বল সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি প্রাচীন এই রাজবাড়ির পুজো। এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেখানো লণ্ঠনের আলোয় দেবীর বিসর্জন ঘটে। 

উত্তর মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার রাজা ছিলেন রামচন্দ্র রায়চৌধুরি। শুধু বাংলা নয়, বিহারের কিছু অংশও তাঁর রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল। দোর্দণ্ডপ্রতাপ কিন্তু প্রজাদরদী এবং ধর্মপ্রাণ হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল পূর্ব ভারত জুড়ে। কথিত আছে, একবার রাজা স্বপ্নাদেশ পান দেবী চণ্ডীর। সেই স্বপ্নাদেশে মহানন্দার ঘাটে স্নান করতে যান তিনি। সেই সময় তাঁর হাতে চতুর্ভুজা অষ্টধাতু নির্মিত মূর্তি উঠে আসে।

jkuloiloi

সেদিন থেকেই রাজবাড়িতে শুরু হয় দেবীর নিত্যপুজো। প্রথমে মহানন্দা নদীর পাড়ে মাটির ঘর ও খড়ের ছাউনি দিয়ে মন্দির তৈরি করে পুজো শুরু করা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে তা পরিবর্তন হয়েছে। পরবর্তীতে এই বংশের অন্যতম রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরির নির্দেশে তৎকালীন ম্যানেজার সতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে সেখানে পাকা দুর্গাদালান নির্মিত হয়। 

nmjkoo

প্রাচীন প্রথা মেনে এখনও সেখানে সপ্তমী তিথিতে রাজবাড়ি থেকে দুর্গাদালানে নিয়ে আসা হয় অষ্টধাতুর চতুর্ভুজা মা চণ্ডীকে। দশমীতে তিনি ফের রাজবাড়িতে ফিরে যান। ১৭ দিন ধরে চলে এই পুজো।