নিজস্ব সংবাদদাতা : শীতের আমেজে সজ্জিত শহর, চারপাশে সাজানো কেক, জুজুলস, মার্শম্যালো, আর আলোকিত চার্চ, রাস্তা ও রেস্তোরাঁ। ছোটরা অধীর আগ্রহে সান্টাক্লজের কাছ থেকে গিফট পাওয়ার অপেক্ষায়, আর শহরের এক কোণায় বাজছে ' উৎসবের আনন্দ। কিন্তু কীভাবে এই দিনটি 'বড়দিন' হিসেবে পরিচিত হল, তা অনেকেরই অজানা।
এটা সত্য যে, ক্রিসমাস বা বড়দিনের তারিখের সাথে সূর্যের ডোবার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, 'বড়দিন' নামে পরিচিত এই দিনটি সূর্যাস্তের দেরিতে সম্পর্কিত নয়। বরং, এই দিনটি খ্রিষ্টান ধর্মের পবিত্র উৎসব, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন। বাইবেলে যীশুর জন্মের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি, তবে ৩৩৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে রোমানরা ২৫ ডিসেম্বরকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করতে শুরু করে। তখন থেকেই এটি ক্রিসমাস হিসেবে পরিচিত।
বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ে, ২৫ ডিসেম্বর একটি মহৎ এবং বিশেষ দিন হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে শুধু খ্রিষ্টানরাই নয়, অন্যান্য ধর্মের মানুষদের মধ্যেও এই দিনটি উৎসবের দিন হয়ে ওঠে, যেখানে সবাই রঙ-বেরঙের কেক, চকোলেট এবং আলো দিয়ে আনন্দ ভাগ করে নেয়।
ভারতে, ইংরেজ শাসনকালে ব্রিটিশরা এই দিনকে 'বড়া দিন' বলতো, যাতে এটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে। ভারতীয়রা তখন থেকেই এদিনকে 'বড়দিন' হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করে। সূর্যাস্তের দেরির সাথে এর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, বিশেষ দিন হিসেবে এর গুরুত্বের কারণে 'বড়দিন' নামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এভাবেই, বড়দিনের অর্থ বা তাৎপর্য শুধুমাত্র যীশুর জন্মদিনের উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি বিশেষ এবং মহৎ দিনের চিহ্ন, যা সকল বয়সী মানুষদের মধ্যে আনন্দ এবং উদযাপনের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।