নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক জঙ্গল থেকে গাছ কেটে পাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান চালালেও তা আটকানো যায়নি। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন মুড়াকাটা, সিজুয়া, খেজুরডাঙ্গা, জামশোল সহ একাধিক এলাকায় দিনের পর দিন চলছে জঙ্গলের গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা। বনকর্মীরাও টহল দিচ্ছেন জঙ্গল এলাকায়। হাতেগোনা কয়েকজন বনকর্মী নিয়ে টহল দেওয়া কতটা সম্ভব তা ভাবাচ্ছে বনাধিকারিকদের। ফলে এবার বাড়িতে অভিযান চালালো বনদপ্তর। মেদিনীপুর রেঞ্জের গোপগড় বিটের খেজুরডাঙ্গা এলাকায় বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি জঙ্গলের মোটা গাছ কেটে নিয়েছিল বলে অভিযোগ আসে বনদপ্তরের কাছে। সেইমতো বুধবার বিকেলে অভিযান চালায় বনকর্মীরা। ওই এলাকায় বাড়ির কাছ থেকে বহু গাছ উদ্ধার হয়। বাড়ি গুলিতেও অভিযান চালায় বনকর্মীরা। ফাঁকা মাঠের মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তি লুকিয়ে মজুদ করে রেখেছিল জঙ্গলের গাছ।
আবার বেশ কিছুজন জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল গাছ কাটার জন্য। বনকর্মীরা যেতেই পালিয়ে যায় তারা। ওই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিক। আগামীদিনে সমস্ত এলাকার বাড়িগুলিতে অভিযান চালালো হবে। জঙ্গলের গাছ মজুদ করে রাখা থাকলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়, গুড়গুড়িপাল, লালগড়, পিড়াকাটা সহ বিভিন্ন জঙ্গল থেকে মোটা মোটা শাল গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে পাচারের ঘটনা ঘটেছিল। তার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনও জঙ্গলে ঢুকে কেটে ফেলছে গাছ। বুধবার এমনই কয়েক ট্রাক্টর বিভিন্ন গাছ উদ্ধার করলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। গাছগুলি উদ্ধার করে মেদিনীপুর রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। গোপগড় বিটের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী বলেন, "বেশ কিছু গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাড়িগুলিতেও অভিযান চালানো হবে জঙ্গলের পাচার হওয়া গাছের খোঁজে। যাদের বাড়ি থেকে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে হবে।"