নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবাসে 'জাত' বদল! সাধারণ জাতি হয়ে গেল তপশিলি। তালিকায় নাম ঢুকলো রেশন ডিলারের। বিতর্কের মুখে ব্লক প্রশাসন। কোথাও বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় একই ব্যক্তির একাধিকবার নাম কোথাও আবার মৃত ব্যক্তির নাম। কুঁড়ে ঘরে থাকে অথচ নাম নেই গরিব মানুষদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠছে এই অভিযোগ। এবার জাতি পরিবর্তন হয়ে আবাসের তালিকায় নাম ঢুকলো বিলাসবহুল বাড়ি থাকা মৃণাল কান্তি ঘোষ নামের রেশন ডিলারের। সবেতেই দুর্নীতি, বঞ্চিত হচ্ছে গরিব মানুষরা, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। যারা পাওয়ার যোগ্য তারাই একমাত্র পাবে আবাসের বাড়ি, সাফ দাবি পঞ্চায়েত মন্ত্রীর। কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকায় থাকেন মৃণাল কান্তি ঘোষ। তিনি আবার বিদবিহার গ্রামের রেশন ডিলার। তিনি আবার বিদ বিহারের জামদহ এলাকায় বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। তারপরেও কিভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকলো ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিদ বিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল। সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন," এই ধরনের কারোর নাম আবার্সের তালিকায় থাকার কথা নয়। এই তালিকা ২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল। তখন কার নাম ছিল আমরা জানতাম না। এখন সেই তালিকা বাছাই করা হচ্ছে। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেওয়া হবে বাড়ি। "
সমালোচনায় সরব হয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কি হাল। যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামবো।"রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন,"যে তালিকা পুরানো ছিল সেগুলি সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তালিকা এখনো প্রকাশ হয়নি। এখন পর্যালোচনা চলছে। এইসব নাম যাচাইয়ের সময়ই বাদ চলে যাবে। যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই দেওয়া হবে আবাসের পাকা বাড়ি।"