নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। SSC মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য জুড়ে চলছে জল্পনা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর কোনও বিচারপতির নাম করে মন্তব্য না করলেও আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। ভোটের মাঝে হাইকোর্টের এই রায়ের পরই ফুঁসতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
সম্প্রতি, এই বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের প্ৰতি 'অবমাননাকর' মন্তব্য করে বিপদে পরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে বেআইনি বলে দাবি করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট সম্পর্কে তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে এবার একইভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়েছেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। কিন্তু তাঁর আর্জিতে সেভাবে সাড়া দেয়নি উচ্চ আদালত।
কৌস্তভের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা হাইকোর্ট সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। তবে এই বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে, আগেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করেছেন। এখন আইনজীবী চাইলে সেই মামলায় এই বিষয়টি যুক্ত করতে আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু আলাদা করে এই বিষয় নিয়ে আদালতে কোনও মামলা গ্রহণ করা হবে না।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার বিষয়টি নিয়ে আপাতত সমস্ত নথি ও ফাইলপত্র প্রধান বিচারপতির কার্যালয় জমা থাকবে। কোন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানাবে প্রধান বিচারপতির সচিবালয়।