জলের তোড়ে ভাঙল সাঁকো। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন নদী পারের গ্রামগুলির। পাঁশকুড়ায় সমস্যায় মানুষ। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও হয়নি লাভ। জোটেনি কংক্রিটের সেতু।
দিগ্বিজয় মাহালী, পাঁশকুড়া : দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কচুরি পানার চাপ ও জলের তোড়ে ভাঙছে ডোম ঘাটে কাঁসাই নদীর ওপরে তৈরি বাঁশের সাঁকো। প্রশাসনের কাছ থেকে শুধু প্রতিশ্রুতিই মেলে। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফের পাঁশকুড়া এলাকায় পর পর বেশ কয়েকটি দুই পারের সংযোগকারী বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। পাঁশকুড়ার ডোমঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায় পানার চাপ ও জলের তোড়ে, পাঁশকুড়া ব্লকের থেকে যোগাযোগ স্তব্ধ হয়ে যায় অপর প্রান্তের ১৪ টি মৌজার, এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াত,বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর স্তব্ধ দুই প্রান্তের যোগাযোগ। বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় পারাপারের মাধ্যম হয়ে ওঠে নৌকো, কাঁসাই নদীর স্রোতের মধ্য দিয়ে নৌকো চালানোর সময় বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটে, এমনকি বেশ কয়জন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে, এই বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুর পথে হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্কুল যেতে হয় রোগী সহ ছাত্র-ছাত্রীদের, কংক্রিটের সেতুর আশায় এলাকাবাসী।