ব্রীজ বিভ্রাট- শিরোনামে মেদিনীপুর

মেদিনীপুর থেকে বড় খবর জানা যাচ্ছে।

author-image
Aniket
New Update
f

File Picture

মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীরপুর জেলার দুই প্রান্তের দুই গুরুত্বপুর্ণ সেতু দাসপুরের খুকুড়দা ও মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্রীজের ওপর দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে অনেক আগেই৷ মোহনপুর সেতুর প্রাথমিক মেরামতিও হয়েছে৷ তারপরেও ভারী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৷ সেতুগুলির স্বাস্থ্য খারাপ থাকার কারনে প্রশাসনের এই সাবধানতা৷ নিজেদের মাল বোঝাই ভারি গাড়ি অন্য জেলাতে নিয়ে যেতে সমস্যা তৈরী হয়েছে লরি মালিকদের৷ বাধা পেয়ে দফায় দফায় প্রতিবাদ করেছে লরি মালিকেরা ৷ ক্ষতি হচ্ছে জেলাতে মাল আমদানি রপ্তানি বানিজ্যে৷ এবার সেই কথা মাথায় রেখে মোহনপুর ব্রীজে ভারি গাড়ি চলাচলে সরলীকরনে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন৷ ব্রীজে দুই প্রান্তে বসানো হচ্ছে ওয়ে ব্রীজ তথা বিভিন্ন ভারি গাড়ির ওজন মাপা মেসিন৷ সেখান থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে ওজন দেখিয়ে পার হতে হবে ভারি গাড়িগুলিকে৷ সেই লক্ষ্যে ওজন মাপার কয়েকটি কোম্পানির সাথে কথাও বলেছে প্রাশাসন৷ ব্রীজের দুই প্রান্তেই বসছে দুটি মেশিন৷

গত দুবছরের বেশি সময় ধরে মেদিনীপুর খড়্গপুর সংযোগকারী মোহনপুর ব্রীজে ভারি গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে প্রশাসন৷ তারপরেই ভারি গাড়িগুলি যা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ওই ব্রীজের ওপর দিয়ে যেতো সেগুলি যাচ্ছিল দাসপুরের খুকুড়দা হয়ে৷ অর্থাত পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্রীজের বিকল্প হিসেবে মেচগ্রাম হয়ে ঘাটালের পথে অন্য জেলাতে যেতো৷ কিন্তু মেচগ্রাম থেকে ঘাটাল সংযোগকারী সেই এলাকার খুকুড়দা সেতুরও অবস্থা বেহাল হয়েছে সম্প্রতি৷ তারপর এই সেতুতেও একমাস ধরে বিধিনিষেধ করা হয়েছে ভারী গড়া চলাচলের ক্ষেত্রে৷ অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে কংসাবতী নদীর ওপরের মোহনপুর ব্রীজেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল৷ দুদিক থেকে বাধা পেয়ে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে লরি মালিকদের এসোসিয়েশন৷ এবার তাদের কথা মাথায় রেখেই ব্রীজগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপের কথা জানালেন জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরি ৷ নিজেদের প্রস্তুতি সেরে দুই ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন৷
 
উল্লেখ করা যায় , ভারী পন্যবাহী গাড়িগুলি এই যাতায়াত সমস্যাতে পড়ে যাওয়াতে বেশ কিছু  পন্যের দামও বাড়ছে বলে মন করছেন ব্যবসায়ীরা৷ বিভিন্ন বানিজ্যে সমস্যা হচ্ছে বলেই দাবি ব্যাবসায়ীদের৷ বালি বহনকারি গাড়িগুলি নিয়মিত সিও কেটেও যাতায়াতে সমস্যাতে পড়ছে৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সমাধানে অতি তৎপর হতে হচ্ছে প্রশাসনকে ৷