বন্দুক এখন অতীত, জঙ্গলমহলকে পথ দেখাচ্ছে বই

জঙ্গলমহলে বদল এসেছে! আজ আর বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানে নয়, বন্দুকের বদলে হাতে উঠছে বই। শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। পরিবেশে এ এক বড় বদল।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
sas

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : বন্দুক ছেড়ে এখন বই-ই ভরসা যোগাচ্ছে জঙ্গল মহলের ছেলে মেয়েদের। মিশন গ্রিন হান্ট এর বদলে মিশন "চাকরি"। সময়টা ২০০৮ সাল। ঝাড়গ্রাম উত্তাল মাওবাদী আন্দোলনে। ঝাড়গ্রাম শহরে প্রথম সিআরপিএফ এর ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ডেপ্লয়েড হলো। তখন শুধু অপারেশন, এনকাউন্টার, আর এরিয়া ডমিনেশন। তখন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র এক বিশিষ্ট মানুষের পরামর্শ ছিলো " এই গ্রামের সহজ সরল গরিব মানুষ গুলোকে হত্যা করবেন না। ওদের হাতে বই দিন। চাকরি দিন। তাহলে আর বন্দুক লাগবে না।''  তার কথায় কাজ হয়। তার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৫ বছর। এখন আর বন্দুকের দরকার পরে না। তার বদলে বই-খাতা হাতে এলাকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ বদলে ব্যস্ত সিআরপিএফ কর্মী। সিআর পিএফ এর ডিআইজি অপারেশন পশ্চিম মেদিনীপুর রেঞ্জ  ডি.এস. গ্রেওয়াল জানান, এখন মাওবাদী নেই। তাই অপারেশনের বদলে এখন "মিশন কামিয়াব"। অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার না হোক, ট্রেনিং, দিয়ে একটা সরকারি চাকরির সুযোগ করে দেওয়া।

১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিনের কমান্ডেন্ট বি.আর.মিনা বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় সবকটা সীমন্ত এলাকার ক্যাম্পের চার্জে আছেন। তার লক্ষ্য বন্দুক এর বদলে কলমই পারবে একটা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে। আর তাই বন্দুকে দূরে সরিয়ে জেলার প্রায় সমস্ত এলাকার বাচ্চাদের অভিবাবকদের কাছে তার বার্তা- পড়াশুনার।