Pachayat Polls: সন্ত্রাসের রাজনীতি! বোমা নিয়ে TMC vs BJP

পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর থেকেই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে একের পর এক উত্তেজনা এবং অশান্তির খবর উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সাধারণ মানুষ এবার পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রয়েছে আতঙ্কে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
bomb

বনমালী ষন্নিগ্রাহী, বাঁকুড়া: মনোনয়ন চলাকালীন বাঁকুড়ার ইন্দাসে ব্যাগ ভর্তি বোমা পাওয়া গেছে আজ। ব্যাগভর্তি বোমাসহ দুটি গাড়িকে আটক করল ইন্দাস থানার পুলিশ। পাটরাইয়ের দিক থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে যাওয়ার পথে বাঁধেরপাড় এলাকায় গাড়ি দুটিকে আটক করে তল্লাশি করতেই ব্যাগভর্তি বোমার হদিশ পায় পুলিশ। দুটি গাড়ির দুটি চালকসহ গাড়িতে সওয়ার থাকা মোট আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। 

জানা গেছে যে মনোনয়নে ঝামেলা তৈরি করতে ইন্দাসে গাড়িতে করে বোমা আনা হতে পারে এমন খবর গতকাল রাতেই পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এরপরই সতর্ক করা হয় ইন্দাস থানার সবকটি নাকা পয়েন্টকে। আজ সকাল ৭.৩০টার আশপাশে দুটি গাড়িকে পাটরাইয়ের দিক থেকে ইন্দাসের দিকে যেতে দেখে সেগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়েই গাড়ি দুটির একটির মধ্যে থেকে এক ব্যাগভর্তি সুতলি বোমা মেলে। এরপরই গাড়ি দুটিকে আটক করে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক করা হয় দুটি গাড়িতে থাকা আটজনকে। 

পুলিশের দাবি, ফোনে ফোনে খবর পেয়ে বোমাগুলি ইন্দাসে আনা হচ্ছিল। কে বা কারা আর কেন এই বোমার বরাত দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই গাড়িগুলির একটিতে বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে এক যাত্রী সওয়ার ছিল। গাড়িগুলিতে করে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ইন্দাসের বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। সেই সময়ে চক্রান্ত করে তৃণমূল গাড়িগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বিজেপি অভিযোগ করে যে চক্রান্ত করে গাড়িগুলিতে বোমা রেখে তা উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে। তৃণমূল এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। 

এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শুধুমাত্র মনোনয়নকে ঘিরে এই ধরনের অবস্থা ঘটায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। মানুষের প্রশ্ন এখন এই অবস্থা হলে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কী পরিস্থিতি হবে পশ্চিমবঙ্গে? কারণ এই ধরণের সমস্যা শুধুমাত্র বাঁকুড়া নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই দেখা দিচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। বোমা আর বোমা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহু নিষ্পাপ মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছে অনেকেই। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধরনের ঘটনা সত্যি ভয়ের বিষয় হয়ে উঠেছে বাংলায়। ভোট সন্ত্রাসে পরিণত হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চায় না।