নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বিজেপি নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি নেতা কর্মীরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠানো সম্ভব হয়। ২ নেতৃত্বকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউন এলাকায় বিজেপির রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার শহরের বার্জটাউন এলাকায় তৃণমূলের বিজয় মিছিল বের হয়েছিল। ওই এলাকায় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়ের বাড়ি অবস্থিত। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ শুভজিৎ রায়ের। এরই প্রতিবাদে শহরের বার্জটাউন এলাকাতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। বোমা মারার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক।
অবরোধে যানজট শুরু হলে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। অবরোধকারীদের হটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়। সেই সঙ্গে নেতৃত্বে থাকা বিজেপি নেতা শুভজিৎ রায় সহ এক মহিলাকে আটক করে পুলিশ।
শুভজিৎ রায়ের অভিযোগ, "আমার বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা মারা হয়েছিল। তা নিয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পথ অবরোধ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়।" অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের হুমকি এবং দলীয় পতাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুজিত জানা বলেন, "মনিদহ, চাঁদড়া, ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। দলীয় পতাকা, ফেস্টুন সব ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে।"
পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুজিত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “কেউ বাড়িতে বোমা মারলে বা আক্রমণ করলে পুলিশে অভিযোগ জানান। তা না করে ব্যস্ততম রাস্তা অবরোধ করে মানুষের সামনে কি নিদর্শন তুলে ধরছে? ওনার বাড়িতে তৃণমূলের কেউ যদি আক্রমণ করে তার নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ করুক। আমি কথা দিচ্ছি, এই জেলাতে কোথাও মারধর, পতাকা ছেঁড়া বা এই ধরনের কাজে তৃণমূল কর্মী যুক্ত থাকলে আমাকে জানান। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”