হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। খুনের অভিযোগ পরিজনদের।
দেহ উদ্ধার করে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হসপিটালে পাঠিয়েছে।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বিজয়নগর মোড়ে অবস্থিত পুনর্বাসন কেন্দ্রের অদূরে।মৃত যুবকের নাম অশোক চক্রবর্তী। হিজলগড়া গ্রামের সুত্রধর পাড়ার বাসিন্দা।
মৃত যুবকের আত্মীয় ধনঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন যে তাকে হত্যা করে ফেলা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে তিনি খবর পান যে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ঝোপের মধ্যে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। সেইমতো তিনিও সেখানে ছুটে যান। সেখানে তিনি দেখেন দেহটি তাদের পরিবারেরই ছেলের। দেহটি যেখানে পড়েছিল তার থেকে অনেকটা দূরে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। মৃত যুবক কিভাবে ওইখানে পৌঁছালো সেই নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে তারা।মৃত যুবকের মা বন্দনা চক্রবর্তী জানান, তার ছেলে বিজেপি কর্মী ছিলেন। কিভাবে তার মৃত্যু হল সে বিষয়ে তার বিশেষ কিছু জানা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তার জন্য তার ছেলেকে হত্যা করা হতে পারে। তিনি নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের নাম নেননি।
অপরদিকে বিজেপি নেতা সন্তোষ সিং জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই বর্তমান শাসক দল তাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মীকে হত্যা করেছে। দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে তারা দাবি রাখবেন।যদিও এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
জামুড়িয়া দু'নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। ফলে এই বিষয় নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, যেকোনও মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। তারা যথাসাধ্য ওই পরিবারের পাশে থাকবেন। তিনি নিজে মৃত যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করবেন। বিজেপির কে কটাক্ষ করে তিনি জানান অভিযোগ করার আগে যেন তারা চিন্তা-ভাবনা করে বলেন।