নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম বর্ধমানঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কড়া বার্তার পরও ভোট পরবর্তী হিংসা হল। এক বিজেপি (BJP) কর্মীর ঘর ভাঙচুর ও তাকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে হাজির হন। এদিকে ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিন। এদিকে গতকাল ভোটের ফল বেরোনোর পর নিজের ফেসবুক লাইভে সকল তৃণমূল কর্মীদের বার্তা দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। যেন বিরোধীদের ওপর কোনওরকম হামলা না হয় এবং বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি। তিনি আরো বলেন যারা বিরোধীদের উপর হামলা করবে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বার্তাকে তুচ্ছ করে পাণ্ডবেশ্বর থানার হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাজারী গ্রামে বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ওই বিজেপি কর্মীর বাচ্চাদেরকেও মারধর করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বিধান বাদ্যকরের স্ত্রী কাজলী বাদ্যকর হরিপুর পঞ্চায়েতের ৩৬ নম্বর বুথে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার দিন ভোট গণনা শেষে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হয়। ঠিক তারপরেই বিজেপির কর্মীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।
বিজেপি জেলা সভাপতি দিলীপ দে অভিযোগ করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে হুমকির সুরে জানান আর ছয় মাস পর তার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানান যে, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীর বাড়ির উপর হামলা কোনও ব্যক্তিগত কারণে হলেও হতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যাতে কোনো প্রকার ব্যক্তিগত হোক বা রাজনৈতিক হিংসা করতে দেওয়া যাবে না।‘ যদিও এহেন ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানজুড়ে।