নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের খাড়বান্ধি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সমর্থনে নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যা সীতা সোরেন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। বিজেপি সমর্থিত প্রধান সীতা সোরেনের বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে ঠিকাদাররা। নিয়ম ভেঙ্গে পঞ্চম ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লক প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত নথি ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যদের। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ও নির্দল জোট খাড়বান্ধি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। বিজেপি ৪টি ও নির্দল ৩টি আসন দখল করে। তৃণমূল পায় ৫টি আসন। প্রধান হন বিজেপির সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সীতা সোরেন। বিজেপি জোট পরিচালিত পঞ্চায়েত গঠন হয়।
/anm-bengali/media/media_files/pIlE1cUXb1hai6xkVu3H.jpg)
তারপর থেকেই লাগামহীন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বাদেও একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ তুলেছেন যে কাজের জন্য কাটমানি চাইছেন এই প্রধান। অভিযোগ পঞ্চম ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা নিয়ম না মেনে ব্যয় করা হয়েছে। কভার ফাইল কেনার জন্য ২৫ হাজার ২১৬ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পঞ্চায়েতে ডেটা এন্ট্রি কর্মী নেই। কিন্তু তাঁদের জন্য ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। প্রিন্টিংয়ের জন্য ২৩ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়াও নিয়মের বাইরে গিয়ে টিউবওয়েল সারানোর জন্য ৫৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, যা পঞ্চায়েত সদস্যদের কাউকে জানানো হয়নি। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও ব্লকের ঠিকাদার সংস্থার লোকজন ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়াল-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যদের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিজেপি পরিচালিত নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান সীতা সোরেন।