কারামন্ত্রী কেন কারাগারের পেছনে নেই?

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, অখিল গিরির ক্ষমা না চাওয়ার বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, অখিল গিরির ক্ষমা না চাওয়ার বিষয় সম্পর্কে, বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "রাজ্যের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি রাজ্যের কারামন্ত্রী। শুধু এইবার নয় মন্ত্রীদের পদে থেকেও এর আগেও আমরা দেখেছি তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি যিনি ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন, দ্রৌপদী মুর্মুকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে অসম্নান করেছিলেন। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।

publive-image

যিনি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করতে পারেন তার কাছে একজন মহিলা সরকারি বন আধিকারিক খুব ছোটো ব্যাপার। তৃণমূল কংগ্রেস যে মহিলাদের প্রথম থেকেই ছোট এবং নীচু নজরে দেখে সেটা কিন্তু আবারও প্রমাণ হলো। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তিনি যখন একজন সরকারি আধিকারিকের আয়ু ঠিক করে দিচ্ছেন, সেই মহিলা বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা বলে হুমকি দিচ্ছেন, এই গর্হিত অপরাধ করার পরেও, তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা। তিনি শুধু শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের চাপে পড়ে এবং দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য পদত্যাগ করছেন। কিন্তু এই করে তার তেজ বা জেদ কোনওটাই কমেনি, তিনি কিন্তু ক্ষমা চাইতে চাইছেন না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যদি সত্যিই চাইতো যে তারা এই ধরণের কালচারকে বন্ধ করবে তবে কিন্তু কারামন্ত্রী আজ কারাগারের পেছনে থাকতো। আমাদের একটাই প্রশ্ন, কারামন্ত্রী কেন কারাগারের পেছনে নেই? চোপড়ার তাজিমুল থেকে, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং একাধিক বার মহিলাদের ওপর এবং সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করার পরও তারা পার পেয়ে গেছে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতার।

publive-image

সেখানে তৃণমূলের নেতা হামিদুর রহমান জেসিবঅর্থাৎ তাজিমুলের পাশে আছে। তৃণমূল শুধু ওপর ওপর দেখায় যে তারা নারীদের পাশে রয়েছে, তারা নারীদের সম্মানের কথা চিন্তা করে। কিন্তু এই তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা এবং দুষ্কৃতীরা একাধিকবার নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাদেরকে আক্রমণ করেছে। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডকে তৃণমূলের সর্বোচ্চ একজন নেত্রী ছোট ঘটনা বলে অভিহিত করেছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলাদের প্রতি কিরকম মনোভাব তা কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে। শুধু অখিল গিরি নয়, তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অসম্মান করেছিলেন, সেটাও কিন্তু সকলের নজরে এসেছে। বাংলায় তৃণমূলের দ্বারা খাপ পঞ্চায়েত ধরণের দুষ্কৃতি চলছে। রাজ্যে পুলিশ সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে। রাজ্যের পুলিশ নির্বিকার। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে বোম মারার কথা বলেছিলেন। সেখানে তাকে কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়নি। শাসক দল এবং শাসক দল যে সরকার চালাচ্ছে তারা একই লাইনে চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন যে প্রশাসন ঠিক করে কাজ করছে না। সত্যিই যদি প্রশাসন ঠিক করে কাজ করতো তবে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের আসন সংখ্যা আরও বাড়তো। প্রশাসনকে সরকার ব্যবহার করছে শাসকদলের সিট বাড়ানোর জন্য। মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? রাজ্যের মহিলারা এফআইআর করতে ভয় পায়। পুলিশ এফআইআর নেয় না। একাধিক জায়গায় দুষ্পতি কাণ্ড ঘটছে এবং তাদের মাথায় হাত রাখছে শাসকদলের নেতারা। অখিলগীরের এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয় যে শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা এই ধরণের কথা বললে, সমাজের যারা নীচুতলার দুষ্কৃতি তাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। রাজ্যে এই ধরণের ঘটনার পর আমরা দাবি জানাচ্ছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত, অবিলম্বে অখিল গিরিকে গ্রেপ্তার করা ও তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা। যদি সেটা না হয় তবে কিন্তু আগামীদিনে মানুষ রাস্তায় আন্দোলনে নামবে এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য।"


Adddd