নিজস্ব সংবাদদাতা: বিভিন্ন সময় বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ আটক ও অ্যারেস্ট করার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত দাসপুর থানা ঘেরাও করে ভারতীয় জনতা পার্টি ঘাটাল সাংগঠনের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য আরজি কর এর অভয়ার বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে যখন সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
সেই মতোই ২৭ আগষ্ট নবান্ন অভিযানে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হয় পুলিশের দ্বারা। ২৮ আগস্ট তারই প্রতিবাদে সারা বাংলা জুড়ে বনধ্ ডাকেন ভারতীয় জনতা পার্টি। বনধের দিন সারা রাজ্যজুড়ে পুলিশের সাথে কার্যত খণ্ড যুদ্ধ কোথাও কোথাও লক্ষ্য করা যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ব্লক-এও পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বচসা শুরু হয়।
তারপরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে দাসপুর থানার পুলিশ। মিথ্যে মামলা দেওয়া হয় তাদের নামে। সেই প্রতিবাদেই এদিন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে দাসপুর থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়।
রবিবার বিকেল ৪ টা নাগাদ দাসপুর সবুজ সংঘের মাঠ থেকে শুরু হয় মিছিল, পরে দাসপুর বাজারে এসে মিছিল পৌঁছালে, পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশের সাথে বিজেপি নেতৃত্বের প্রথমে বচসা, পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর বিজেপি কর্মীদের কাছে পিছু হঠতে বাধ্য হন পুলিশ! সেখান থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশ কে সরিয়ে পৌঁছে যান দাসপুর থানার সামনে।
থানার গেটের সামনে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা বসে বিক্ষোভ সেখান। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, “পুলিশ আমাদের কর্মী সমর্থকদের আটকে রাখতে পারেনি। আমরা সত্যের পথে রয়েছি, তাই অবশেষে দাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমাদের সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন”। পাশাপাশি উনি কথা দিয়েছেন আগামী দিনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা সঙ্গে থাকলে আগামী দিনে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও ভয় পাবে বিজেপিকে”।