নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৯ নভেম্বর কলকাতার ধর্মতলায় সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে সোমবার পুঞ্চায় প্রস্তুতি সভা ছিল। সেখানে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার বক্তব্য ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তিনি সরাসরি তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন।
২৯ নভেম্বর বিজেপির সভার আগে বাঁকুড়ার পুঞ্চায় প্রস্তুতি সভা ছিল। সেখানেই ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা হুমকি দিয়েছেন, 'ধর্মতলায় বিজেপির কোনও কর্মীকে যেতে বাধা দিলে, তৃণমূল কর্মীদের টুঁটি চেপে গাড়িতে তুলে গঙ্গায় চুবিয়ে দেবেন।' পাশাপাশি তিনি বলেছেন, 'তৃণমূলের কেউ গালে চড় মারলে পাল্টা মারে তাদের দাঁত ফেলে দিন।' ঠিক যে সময় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরে বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অমরনাথ শাখা বলেন, 'আমার কাছে খবর আছে, কোথাও কোথাও তৃণমূল আটকাতে পারে। গাড়ি থেকে নেমে টুঁটি ধরে ওই বাঁশটি দিয়ে তুলবেন, আর গঙ্গায় চোবাবেন।' অমিত শাহের সভা ঘিরে রাজ্য রাজনীতির পারদ ক্রমেই বাড়ছে। তার সঙ্গে বিজেপির একের পর এক নেতা তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের আক্রমণ করছেন। সোমবারই রামপুরহাটে জনসভা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তাঁকে চোরেদের রানি বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার এই বক্তব্যকে মোটেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তৃণমূলের নেতারা। ধর্মতলায় অমিত শাহের সভায় বিজেপি লোক জোগাড় করতে পারবে না, তা বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই এই ধরনের মন্তব্য বিজেপি নেতারা করছেন বলে তৃণমূলের তরফে দবি করা হয়। তবে অমিত শাহের এই সভাকে কেন্দ্র করে হুমকি ও পাল্টা হুমকির প্রচার বাড়ছে। হুগলির চুঁচুড়ায় বিজেপির পোস্টারের নীচে পাল্টা হুমকি পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে লেখা রয়েছে, 'যাঁরা অমিত শাহের সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকা ছাড়া করা হবে।'
অন্যদিকে, ওন্দার বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য সম্পর্কে তৃণমূলের দাবি, বাজার গরম করতেই এই ধরনের মন্তব্য। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন অমরনাথ শাখা। তিনি বলেন, 'এটা কোনও উসকানিমূলক কথা নয়। এটা হল টিট ফর ট্যাট।' তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন,'ওন্দার বিধায়ক বুঝতে পেরেছেন, কলকাতায় অমিত শাহের সভায় লোক হবে না। যাই হোক, বিজেপি নেতা বাজার গরম করতে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।'