'তৃণমূলের অনেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন'

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় এবার রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।

author-image
SWETA MITRA
আপডেট করা হয়েছে
New Update
suvendu laxmir.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ মঙ্গলবার বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে নদিয়ার ফুলিয়ায় জনরঞ্জন কেন্দ্র মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য পেশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর হাতিয়ার ছিল রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এই প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

 

এদিন তিনি বলেন, ‘কারোর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হলে জানান। মানুষের করের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুরু করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অনেকেই এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন।‘

 

উল্লেখ্য দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। এদিকে আসন্ন এই পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অব্যাহত রেখেছে।

 

এদিকে বিজেপি হাতিয়ার হয়েছে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প। বর্তমানে সবথেকে আলোচ্য বিষয় হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।    

 

২০২১ সালের আগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছিল। বিশেষ করে মহিলারা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুদান পান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সাধারণ জাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং এসসি এবং এসটি বিভাগের জন্য প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা দেওয়া হয় সরকারের তরফে।

 

মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য রাজ্য সরকার চালু করা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি স্কচ পুরষ্কার পেয়েছে। মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগ এই প্ল্যাটিনাম পুরষ্কার পেয়েছে।

 

জানা গিয়েছে, কোভিড চলাকালীন প্রতি মাসে মহিলাদের নগদ টাকা দেওয়ার জন্য এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। এর আওতায় এসসি-এসটি মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং সাধারণ জাতের মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য বছরে প্রায় ১১,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে।

 

 সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার socialsecurity.wb.gov.in ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে জনসাধারণ এই প্রকল্প সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য পাবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করার পর নাম নিবন্ধন করা হয়েছে কি না, তা বাড়ি থেকেই অনুমোদিত সাইট থেকে জানা যাবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আপনি। এই উদ্যোগটি রাজ্যের মহিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগের তরফে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত সুবিধাভোগীকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে তার তথ্যও ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।