নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, নারীদের নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সম্পর্কে নবান্ন থেকে জারি নির্দেশিকার বিষয় সম্পর্কে, বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের নপুংশক প্রশাসন ভুলে গেছে তাদের পুলিশ মন্ত্রী, তাদের সর্বময় নেত্রী একজন মহিলা। যদিও তিনি মাতৃত্বের স্বাদ না পাওয়ায় তার মধ্যে পিসি সত্ত্বা থাকলেও, তার মধ্যে নারী সত্তা কতটা আছে তা এখন কিন্তু প্রশ্নের মুখে।
/anm-bengali/media/media_files/tamasha33.jpg)
একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেশ যখন বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবার চেষ্টা করছে, সারা দেশজুড়ে যখন ওমেন এমপাওয়ারমেন্টের কথা বলা হচ্ছে, কখন পশ্চিমবঙ্গের অপদার্থ প্রশাসন মেয়েদের বাড়িতে বসিয়ে রাখার চক্রান্ত করছে। এই সরকার স্বীকার করছে যে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। আজ পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম বা হাসপাতালে কর্মরত নারীদের কথা ভেবে দেখেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন? কাল যদি সুরক্ষার কারণ দেখেই পশ্চিমবঙ্গের কোন বেসরকারি সংস্থা মহিলা কর্মচারীদের নিতে অস্বীকার করে, তার দায় কি নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? নাকি মাসে ৮০০০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করা মেয়েটিকে, লক্ষীর ভান্ডারের ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখবে? ব্যক্তিগত কুৎসা করতে আমি চাই না।
/anm-bengali/media/media_files/tamasha1.jpg)
কিন্তু যে মাননীয়ার বাড়ির গৃহবধূকে আগুনের লেলিহান শিখায় নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়, তার থেকে নারী সুরক্ষার বিষয় আশা করা মূর্খামি! পশ্চিমবঙ্গের নারী সমাজ জেগে উঠেছে। আরজি করের এই নারকীয় হত্যাকান্ড, বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছে। এই কান্ডের প্রতিবাদে নারীরা মধ্যরাতে রাত দখল করতে বেরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে মাতৃ শক্তিকে থামানো অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ থিম পুজোয় দেবী দুর্গার অস্ত্রহীন রূপ দেখেছে, কিন্তু ২০২৪ এ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখবে দেবী দুর্গার অস্ত্রধারিনী রুদ্ররূপ!"