মদ বিক্রির উপর নির্ভর থাকতে হচ্ছে!

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয়ে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
আপডেট করা হয়েছে
New Update

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয়ে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার সম্পর্কে বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি পড়ে যাচ্ছে এতে তো কোনও সন্দেহ নেই। পশ্চিমবঙ্গে কোনও শিল্প নেই, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব কোনও আয় নেই। পশ্চিমবঙ্গকে মদ বিক্রির উপর, তার রাজস্ব আদায়ের উপর নির্ভর থাকতে হচ্ছে। মদের দাম পুজোর আগে বাড়িয়ে দিয়ে সরকারকে টাকা তুলতে।

publive-image

সরকারের নিজস্ব কোনও আয় আর প্র্যাক্টিকালি বলতে নেই, কারণ সরকার কেন্দ্রকে বিভিন্ন অর্থের হিসাব দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তারা বলছে বাংলার বঞ্চনা, সেটা কোর্টে গিয়ে তারা অন্যান্য রাজ্যের মতন প্রমাণ করতে পারছে না, কারণ তাদের হাতে কোনও তথ্য নেই। প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ডের বিনিময়ে অনন্ত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকারের থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে যার হিসাব নেই। বিভিন্ন ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে, বিভিন্ন মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার লেন-দেন করানো হয়েছে। কিন্তু বেনেফিশিয়ার হিসেবেও তাদেরকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। কোনও ইন্ডাস্ট্রি এখানে আসতে গেলে পরে তাদের কাছ থেকে তোলাবাজি, কাটমানির টাকা নেওয়া হচ্ছে, চাওয়া হচ্ছে যে কারণে একটা ১০০ কোটি টাকা দিয়ে পোল্ট্রি ফার্ম খুলতে আসা ব্যক্তিকেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালিয়ে যেতে হয়, একজন এনআরআই ব্যবসায়িক সূত্রে ইনভেস্ট করার জন্য এখানে এসে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রীর দ্বারা গাড়ি কেন আউটগেট দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে শুধু এই প্রশ্নটুকু করায়, তিনি একটু সরে যেতে বলেছিলেন বলে তাকে বিভিন্ন রকম ভাবে প্রশাসনিক পর্যায়ে তাকে হ্যারাস করিয়ে দিয়ে তাকে বাধ্য আবার বিদেশে চলে যেতে।

publive-image

এইরকম যেখানে পরিস্থিতি যেখানে শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন -এর নাম করে বড় বড় লোকেরা আসেন, বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে কামড়াকামড়ি হয়, তার ছবি আমরা দেখি আর দিনের শেষে কোনরকম কোন কিছু ইনভেস্টমেন্ট আসে না। ঠিক যেরকম সিপিএমের আমলে প্রত্যেকবার গরমকালে জ্যোতিবাবু মৌ সই করতে লন্ডনে যেতেন।

publive-image

লক্ষ্য লক্ষ্য মৌ সই করা হয়েছে ৩৪ বছরে কিন্তু কোন মৌ কার্যকর করা হয়নি। ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও একই জিনিস করছে। এটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভাবতে হবে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই বলে পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরকে জমাদারের কাজ করতে গিয়ে, ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যেতে হয় এবং সেখানে ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে তারা মারা যায়। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি কাশ্মীরে আপেল কুড়োতে গিয়ে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। শ্রমিকদেরকে মণিপুরে ব্রিজ তৈরি করতে গিয়ে সেখানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হতে হয়। ভারতবর্ষের যেখানেই দুর্ঘটনা ঘটবে সেখানেই বাঙালির শ্রমিকের মৃত্যুর খোঁজ পাবেন। ঠিক কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের মাথার উপর ছয় লক্ষ কোটি টাকার দেনা রয়েছে। রাজ্যটা বেঁচে আছে কারণ কেন্দ্রীয় সরকার তাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে ইমিডিয়েটলি ফিনান্সিয়াল এমার্জেন্সি ঘোষণা করা উচিত। রাজ্য সরকারের মাইনে দেওয়ার ক্ষমতা নেই, অনেকের পেনশন বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ টাকা পাচ্ছে না।"

 

Adddd