নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, অখিল গিরির সম্পর্কে বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী বলেছেন, "অখিল গিরি একজন রিপিটেড অফেন্ডার। অখিল গিরিকে মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায় না। তিনি মহিলাদেরকে কি নজরে দেখেন রাষ্ট্রপতিকে তিনি যে ভাষায় কথা বলেছিলেন তার থেকে পরিষ্কার। অখিল গিরি মহিলা বন আধিকারিককে যে কথা বলেছেন তিনি ভুলে গেছেন যে বনদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির উপরে কি বলেছিলেন সেটা নিয়ে কোনও তদন্ত হয়নি।
আফিলগিরি যখন দুর্নীতির কথা বলছেন তখন তাকে বলতে হবে তিনি কাঁথিতে যে প্রাসাদসম বাড়িটা তৈরি করেছেন সেই সেই বাড়ি তৈরীর সোর্স অফ ইনকামটা কি? অখিল গিরি মৎস্য মন্ত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের। আগে তার বলা উচিত যে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে অন্ধ্রপ্রদেশের চালানি মাছ কেন খেতে হয়? পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য শিল্প নিয়ে কি কি করেছেন তিনি? নাকি পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য শিল্পের বারোটা বাজিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যবসায়ীদের পোয়া বারো করেছেন? তিনি মৎস্য শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন কোনও দুর্নীতি করেছেন কিনা তা নিয়েও তো তদন্ত হওয়া উচিত। কারামন্ত্রী অখিল গিরি এখন চাপে আছেন। পার্থ, কুন্তল, বালু যাদের ঘেঁটি ধরে পিসি-ভাইপোর দুর্নীতির কাছে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়, তারা জেলে আছেন তাই। তাদের নানান রকম আবদার সামনে আসছে। তারা হাতে আংটি পড়ছেন এবং নানান ফাই-ফরমাস দিচ্ছেন। এইসব কারণে অখিল গিরি একটু চাপে আছেন এবং তিনি ভুলভাল কথা বলে ফেলছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে তাকে চাপমুক্ত করে কারামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে দিয়েছেন।
এইসব লোকেদের রাজনীতিতে না থাকাই ভালো এরা রাজনীতির বোঝা। এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া এবং না চাওয়ার বিষয়টা কারোর পারিবারিক শিক্ষা, ব্যক্তিগত রুচি এবং বোধ-বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে। আমি যদি অন্যায় করি এবং অন্যায়টা আমার অহং বোধের আগে থাকে তবে আমি আমার বোধের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়ে নেব।
এখন যদি কেউ মনে করেন আমি মন্ত্রী, আমি শান্ত্রী আমি সরকারি আধিকারিকের কাছে ক্ষমা কেন চাইব, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিরুচি এবং পারিবারিক শিক্ষার প্রতিফলন। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা কোন পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন তা তাদের কথাবার্তার মাধ্যমেই বোঝা যায়। সর্বোপরি দীপক ঘোষের বইটা পড়লে বোঝা যায় তৃণমূলের নেত্রী কোন পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন। কথাতেই আছে 'আপনি আচরি অন্যেরে শিখাও। বাড়ির শিক্ষা যদি ঠিক না হয় তবে পাবলিক লাইফ কারোরই ঠিক হয় না।"