নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপি নেত্রী পাপিয়া অধিকারী বলেছেন, "একজন মা হয়ে একজন পশ্চিমবঙ্গবাসী হয়ে আর কি কোনও বক্তব্য থাকতে পারে? একটা সরকারি হাসপাতালে সরকার নিজে যদি রক্ষক হয়ে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ হয়ে আমরা কি করব আমি। আমি নিজে মা। আমার দু'জন কন্যা রয়েছে। শুধু তাই নয় অনেকের পরিবারের অনেক মেয়েই বাইরে কাজ করে। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরতে হচ্ছে। যেই মা সন্তান হারা হয়েছেন তাকে সমবেদনা জানাবার জন্য আমার কোনও ভাষা নেই।
মেয়েটি কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের প্রাণ হারায়। ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী মেয়েটির চোখ থেকে শুরু করে পেতে আঙুলে নানান জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে, রক্তও বেরিয়েছে, তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলেও, বাকি যারা যুক্ত আছে তাদেরকেও গ্রেফতার করা উচিত। যখন আমরা এই নিয়ে কথা বলতে গেছি, তৃণমূলের দালালরা আমাদের চুপ থাকতে বলছে। আমরা অবশ্যই কথা বলব এবং প্রতিবাদ করব। বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের কি অবস্থা, তার থেকে খারাপ অবস্থা তো এখানে। সিপি বলছেন অভিযুক্ত একজন ক্রিমিনাল। কিন্তু কে সেই অভিযুক্ত, কে সেই ক্রিমিনাল, তা জানার অধিকার আমাদের আছে। কুণাল ঘোষ যাই বলে থাকুন না কেন আমাদের জানার অধিকার আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী। তিনি তো একা সামলাতে পারছেন না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই।
এটার ইমিডিয়েটলি তদন্ত করে সমাধান করা উচিত। ওরা বলেছে ওরা একজনকে ধরে ফাঁসি দেবে। একজনকে ধরে ফাঁসি দেবার অর্থটা কি? পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। তাড়াহুড়ো করার কোনও জায়গা নেই। যে মেয়েটি রাত্রিবেলা পরিষেবা দিতে গেছে তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব কার? একজনকে ফাঁসি দিয়ে কিছুই হবে না। এর পেছনে কারা আছে, কতদিন ধরে এসব চলছে সেই সম্বন্ধে কিন্তু খতিয়ে দেখতে হবে। এই বিষয়ে সকলকে সরব হতে হবে। দু-একদিন এই নিয়ে কথা বলে তারপর মায়ের চোখের জল শুকিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে সকলের নীরব হয়ে যাওয়াটাও কিন্তু উচিত নয়। এইভাবে রাজ্যে একের পর এক নারীর সম্মানহানির ঘটনা যে ঘটছে, এর দায় কি মুখ্যমন্ত্রী নেবেন?"