নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের দাবির বিষয় সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ বলেছেন, "কোথায় তিনি রাজ্যের পুলিশের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন? তিনি তো রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিয়েছেন। উনি বলেছেন ওরা নাকি বিশ্বের সেরা পুলিশ। এই সেরা পুলিশই তো ধর্ষণ এবং খুনের মতো এই নির্মম ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়েছিলো। এগুলো শুধুমাত্র আই ওয়াশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন রাজ্যের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়, যারা ভবিষ্যতে ডাক্তার হবে এবং রাজ্যের মানুষ ছি ছি করছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তারপরে তিনি গতকাল নির্যাতিতার বাড়িতে গেছেন এবং সেখানে গিয়েও তিনি নির্লজ্জভাবে রাজনীতি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছেন সিবিআই-এর সাকসেস রেট কম। তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন ২০২২ সালে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন যে সিবিআই-এর সাকসেস রেট কত? সেই বছর সিবিআই-এর সাকসেস রেট ছিল ৭৪ শতাংশ। সেই বছরই কলকাতা পুলিশের সাকসেস রেট ছিল ২৪ শতাংশ। স্বাভাবিক এখানে তো অনুপ্রাণিত পুলিশ। পুলিশের কাজ আরজিকরের ঘটনা নিয়ে পোস্ট করা নয়। তাদের কাজ হল আরজিকরের ঘটনার মূল দোষীদের খুঁজে বার করা।
পুলিশ কমিশনের বলছেন, এই ঘটনায় একজন যুক্ত আছে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছেন দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। মমতার পুলিশ ও পুলিশ মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যেই তো বিস্তর ফারাক। সিবিআই এর কাছে আবেদন করুন না আগে। সিবিআই যাতে নিজে থেকেই রাজ্যে মামলা না করতে পারে সেই রাস্তা তো আপনারা আটকে রেখেছেন। আপনারা নিজেরা সিবিআই এর কাছে আবেদন করুন বাবা-মা কেন করবে? আপনি তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আপনি তো একাই বাংলার মেয়ে নন। বাংলার মেয়েটাকে যে এভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হলো, এটাই তো প্রমাণ করেছে চূড়ান্ত ব্যর্থ আপনি। একজনকে দাঁড় করালে হবে না, বাকিদের খুঁজে বার করুন।
তাকে যেভাবে খুন করা হয়েছে সেটা কখনোই একজনের কাজ হতে পারে না। এখন তো শুনছি তার নাকি হাড়গোড়ও ভাঙেনি। এটাতো অনুপ্রাণিত পোস্টমর্টেম। যদি আপনাদের সঠিক তদন্ত করবার ইচ্ছা থাকত তবে তার দেহটাকে তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া দরকার কি ছিল? দরকার পড়ে তারা আবার পোস্টমর্টেম করা হতো। কি লুকোতে চাইছেন? কাকে লুকাতে চাইছেন? তিনি আরজিকরের অধ্যক্ষকে এমন শাস্তি দিলেন যে তিনি তাকে আরজিকর থেকে সরিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বানিয়ে দিলেন। এটা শাস্তি? তিনি নয় বার মৃতা ছাত্রীটির নাম নিয়েছেন। ভারতীয় ন্যায়সংহিতা অনুসারে, এটা কিন্তু গুরুতর অপরাধ। সেখানে তাকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এই আইওয়াশ মানুষ সব বুঝতে পারছে।"