নিজস্ব সংবাদদাতা: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। আজ এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহী সভা হয় বিজেপির। এই আবহে এবার দুর্গাপুর স্টেশনেও একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী রইলেন যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। ভিড়ে জমজমাট দুর্গাপুর স্টেশন। সব কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক মহিলা নিজের পায়ের জুতো দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করেন এক ব্যাক্তিকে। কিন্তু কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? ছুটে এল জিআরপি কর্মীরা, ছুটে এল রেল রক্ষী বাহিনী। ততক্ষণে ঐ মহিলার কাছে জুতোপেটা খাওয়ার পর রক্তাক্ত ব্যক্তি।
অভিযোগ, ঐ মহিলা রানীগঞ্জের বিজেপির এক কর্মী। ডাকঘরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় দু লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা নিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি না পেয়েছেন টাকা। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে, কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ঐ মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী।
আজ ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানীগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর আসেন ঐ মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পান ঐ মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন। কিছুটা হতবম্ব হয়ে পড়েন অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। মহিলার মারের হাত থেকে বাঁচতে ছুট দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। বিপদ আর যাতে না বাড়ে, তার জন্য উত্তেজিত রনং দেহি ঐ মহিলার হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন রেল রক্ষী বাহিনী ও জিআরপি কর্মীরা। জিআরপিএফের কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন।