নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপির মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "একজন ছাত্র বা একজন আন্দোলনকারী যারই মৃত্যু হোক না কেন, তার মানে কিন্তু একজন মায়ের কোল খালি হয়ে যাওয়া। অনেকেই মনে করেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবার পর, বাংলাদেশ শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। তারপরও কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সকলদিকে নজর রাখা হয়েছে। এরপরেও কিন্তু ভারত সরকার আগবাড়িয়ে কোনও সিদ্ধান্ত তাদের ক্ষেত্রে নেয়নি।
ভারতবর্ষ তাদের নিয়ে নাক গলায়নি। বৈদেশিক নীতিতেই বলা আছে, অন্য কোনও রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি যদি সাহায্য না চায়, সেখানে ঢোকা যায়না। আমরা দেখছি তারপরেও, বাংলাদেশ জ্বলছে। সেখানে সাধারণ মানুষের জীবনের গ্যারান্টি কোথায়? তারা যে সাধারণভাবে চলাফেরা করতে পারবে তার কি গ্যারান্টি আছে? যেখানে শাসক ও বিরোধী দলের নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা মারা গেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে সেটাও কিন্তু কার্যত ব্যর্থ দেশের শান্তি ফেরাতে। মহিলা প্রধানমন্ত্রীর অন্তর্বাস হাতে নিয়ে দেখানো কিংবা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া ছাত্র আন্দোলনের অংশ নয়। হতেই পারেনা। ছাত্রদেরও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত যে তাদের আন্দোলন কোন জঙ্গি সংগঠনের হাতে হাইজ্যাক হয়ে গেল। জনপ্রিয় এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এও জানা গেছে যে খালেদা জিয়ার পুত্রের সঙ্গে বিরোধী দলের এক নেতার মিটিং হয়েছে অন্য দেশে।
আমরা এর সত্যতা যাচাই করিনি। তাই এর বিষয়ে বেশি কিছু বলবো না। কিন্তু এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের এই অশান্তি সৃষ্টি করার পেছনে, যদি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের হাত থেকে থাকে তবে তার কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এই পরিস্থিতি অবিলম্বে শান্ত হওয়া দরকার। শুধু সনাতন ধর্মালম্বী নয়, বাংলাদেশের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের অবিলম্বে নিরাপত্তা দিতে হবে। এই বিষয়ে সরকারের ভাবনা চিন্তা করা উচিত। এই দাবি আমরা জানাই।"