নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আনন্দপুরের সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "আনন্দপুরে শুধু একটা ঘটনা ঘটেনি। এর আগে আনন্দপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে, একটি পানশালে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই অত্যাচারের যে সংস্কৃতি সেটাকেই কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বাংলায় তুলে ধরেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একাধিক জায়গায় শেখ শাহজাহান থেকে জয়ন্ত সিং অথবা তাজিমুল, দুষ্কৃতী কালচারের কোনও ঘটনাকেই তৃণমূল কংগ্রেস ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনে না যতক্ষণ সংবাদ মাধ্যম সেটাকে মানুষের সামনে তুলে ধরে।
জয়ন্ত সিং-এর ঘটনা ডাকে পুরনো ঘটনা বলা হচ্ছে। আমি যদি ধরেইনি যে এই ঘটনাটা পুরনো ঘটনাই, তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এতদিন কেন সময় লাগলো? এই আনন্দপুরের ঘটনায় পুলিশ এতটাই নির্বিকার যে, পুলিশ এখনো এই ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। আমাদের প্রশ্নটা এখানেই, পুলিশ কি গ্রেফতার করতে পারেনি না তারা গ্রেফতার করতে চাইছে না? যারা এই হামলাটা চালাচ্ছে তারাই কিন্তু শাসকদলের ইলেকশন ম্যানেজার। এরাই ভোটের দিন বুথ দখল করে। এরাই ভোটের দিন মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেয়। তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা এই দুষ্কৃতীদের মাথায় হাত রাখে।
তারপর এরা ধরা পড়ে গেলে মদন মিত্র, সৌগত রায় বলেন,'আমি এনাদের চিনিনা!' এই যে আড়িয়াদহের কাণ্ড, আনন্দপুরের ঘটনা, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা, ভাঙ্গড় থানার ৫০০ মিটারের মধ্যে যেখানে এক বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হলো, এই ব্যাপারে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? দলদাসে পরিণত হয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন এইসব দেখেও নীরব থাকে কারণ তারা জানে ভোটের সময় রাজ্যের শাসক দলকে কিন্তু এরাই সহায়তা করবে। প্রশাসন যদি এতটাই ব্যর্থ হয় তবে আমি বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে দাবি করছি, অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। পুলিশ মন্ত্রী যদি এইসব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে না পারে তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।"