নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপি নেতা অঙ্কন দত্ত বলেছেন, "আমি বুঝতে পারছি না কলকাতা পুলিশ কি করছিল? তারা কি পিকনিকে এসেছিল নাকি ছুটি কাটাতে এসেছিল? তারা কি জানতো না যে ১৪ আগস্ট রাতে এরকম একটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি বা গণঅভ্যুত্থান হতে চলেছে? সেই আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য নামে অরাজনৈতিক কিন্তু তৃণমূলের মদতপুষ্ট, দালালরা আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করলো, টালা এলাকার সন্ত্রাসবাদীরা গিয়ে ভাঙচুর চালালো, পুলিশের হাতের লাঠি কি করছিল? পুলিশ কি করছিলো? পুলিশ যদি নাগরিক নিরাপত্তা ব্যর্থ হয়, তবে এর দায় কার? কারা এই দায় নেবে? রাত দুটোর সময় গিয়ে নগরপাল নাটক করছে। তিনি আবেগ জড়ানো কণ্ঠে, কাঁদো কাঁদো সুরে বলছেন, এইসবের জন্য সংবাদমাধ্যম দায়ী, তাদেরকে এই দায় নিতে হবে। তবে উনি পদত্যাগ করে দিন।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে দায়িত্বশীল হয়ে প্রতিবাদ করার জন্য, আসল অপরাধীকে ধরার ক্ষেত্রে লাগাতার সম্প্রচার করার জন্য যদি সংবাদ মাধ্যম দায়ী হয়ে থাকে, তবে এই নগরপালের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বরং তৃণমূল কংগ্রেস জয়েন করে নিক।
নগর পালের সঠিক চাকরি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস জয়েন করে কলকাতার মেয়র হয়ে যাওয়া। এই যে ভয়াবহতা দেখলাম তার চারটি উদ্দেশ্য রয়েছে। ১.গোটা কলকাতা জুড়ে যে আন্দোলন হয়েছে তার দিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়া। ২.আরজি কর কেন্দ্রিক যে সমস্ত অপরাধের প্রমাণ রয়েছে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া কারণ এবার সিবিআই ঢুকেছে সেখানে। ৩. আন্দোলনটাকে বদনাম করা। ৪. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া যাতে তিনি ১৬-১৭ তারিখ এই বিষয়টাকে নিয়ে ন্যারেটিভ ঘোরানোর জন্য প্রচার করতে পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষ সচেতন, তারা এই খেলা ধরে নিয়েছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেস অনুমোদিত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ।"