নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘আসি যাই পয়সা পাই’। সরকারি কর্মীদের জন্য এই আপ্তবাক্যটি বেশ প্রচলিত ছিল এতদিন। তবে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেওয়ার প্রক্রিয়া। অফিসের বড়বাবু থেকে ছোট বাবু কখন ঢুকছেন তার সবটা নথিবদ্ধ করে রাখবে এই বায়োমেট্রিক। বালুরঘাট পৌরসভার অর্থেই সাফাই কর্মীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি চালু হয়েছে। আর তা চালু হতেই কর্মীরা উধাও।
৮০ জন কর্মী এলেন না হাজিরা দিতে! কিন্তু কেন বায়োমেট্রিকে এমন অনীহা। তবে কি বেনামে বহু ভুয়ো সাফাই কর্মী রয়েছেন বালুরঘাট পৌরসভায়। পৌরসভার দাবি অনেকেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে অক্ষম। বিষয়টা এখনো অনেকের কাছে ধাতস্থ নয়।
চলতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা সাফাই কর্মীদের কম দিতে হয়েছে পুরসভার। এতদিন খাতা-কলমে সই করেই মাইনে নিতেন শহরে। তবে এবার কমানো হয়েছে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের সংখ্যা। পৌরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের তালিকায় ৮০১ জন সাফাইকর্মী রয়েছেন। মাসে ২৬ দিন কাজ করেন তারা দৈনিক ২৪০ টাকা মজুরীতে। এক মাসে পৌরসভার ফান্ড থেকে তাদের পিছনে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়।
২০১৩ থেকে ২০১৮ তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের আমলে ৬০০ জন সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ অনেকেই কাজ না করে বেতন পেয়ে যেতেন ঘরে বসে। নতুন বোর্ড ২০২২ সালে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং তা চালু হয়। চালু হতেই কর্মী উধাও।
বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানাচ্ছেন স্বচ্ছতা আনতে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ৮০ জনের বেশি কর্মী উপস্থিতি দেননি এই মতই মাইনে দেওয়া হবে। তবে এই ব্যাপারে আরও স্বচ্ছতা আনতে নজরদারি চালানো হবে বলেও আশ্বাস দেন পৌর প্রধান।