পবিত্র ঈদে দুর্ঘটনা! শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে মৃত্যু

বাসটি বাইক আরোহীকে প্রায় দশফুট টেনে নিয়ে যায়। এরপর উত্তেজিত স্থানীয় জনতা বাসটিকে ঘিরে ভাঙচুর চালায় এবং আসানসোল বরাকর রোডে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
বাসের ধাক্কায় মৃত্যু

বাসের ধাক্কায় মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোলে : আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামাতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত পেট্রল পাম্প লাগোয়া জিটি রোডে বরাকর থেকে আসানসোলগামী এক বাসের ধাক্কায় টিপু খান নামে এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয় । জানা গেছে, ওই যুবকের বাড়ি কুলটির কুলতোড়ায়।সে পবিত্র ঈদের উৎসবে শ্বশুর বাড়ি নিয়ামাতপুরে উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। এদিন দুপুরে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত‍্যক্ষ দর্শীদের মতে, বাসটি বাইক আরোহীকে প্রায় দশফুট টেনে নিয়ে যায়। এরপর উত্তেজিত স্থানীয় জনতা বাসটিকে ঘিরে ভাঙচুর চালায় এবং আসানসোল বরাকর রোডে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।পাশাপাশি ঘটনাস্থলে নিয়ামাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে গুরুতর আহত ওই মোটর বাইক আরোহীকে চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠালে  চিকিৎসক  মৃত বলে ঘোষণা করেন।অন‍্যদিকে ,স্থানীয় জনগণ এলাকায় উত্তেজিত হয়ে পড়লে তাদের আশ্বস্ত করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলার জাকির হোসেন ও প্রাক্তন এমআইসি মীর হাসিম এবং পুলিশ । তাদের সামনেই উত্তেজিত জনতা রাস্তাঅবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । উপস্থিত  নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও কুলটি থানার পুলিশ ও এসিপি কুলটি সুকান্ত ব্যানার্জীর সামনে জনগণ দাবি করতে থাকে অঞ্চলটি বরাবরই দুর্ঘটনা প্রবণ বলে। প্রায় ছয় মাস আগেই এই অঞ্চলে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত‍্যু হয়েছে। তারপরেও অঞ্চলে স্পিড ব্রেকার বা বাম্পারের দাবি করা হলেও বিষয়টি নিয়ে  প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অবিলম্বে এলাকায় স্পিড ব্রেকার বা বাম্পারের ব‍্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি করেন । প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ চলতে থাকে।শেষে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায় বলে খবর।