নিজস্ব সংবাদদাতা : এ যেন ঠিক এক যুদ্ধ জেতার সমান। গত চারদিন তীব্র জলসঙ্কটে ভোগার পর, আজ থেকে অবশেষে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে হাওড়ার জল সরবরাহ ব্যবস্থা। এই সমস্যার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার দিন, মূলত হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড় এলাকায় ভূমিধসের কারণে, হাওড়ার জল সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। যারফলে উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভার জল সরবরাহ ব্যবস্থা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়। এছাড়াও হাওড়ার অন্যান্য বিধানসভা অঞ্চলেও জল সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু এরপরেই প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই সমস্যা মেটানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে হাওড়া পৌরসভা। হাওড়ার মেয়র ডক্টর সুজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে, রাতদিন এক করে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে শুরু করেন হাওড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করেন হাওড়ার প্রতিটি মানুষ। যারফলে এই কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারাও অনেকটাই সহজ হয়ে যায় হাওড়া পৌরসভার ক্ষেত্রে। এরপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই পাইপলাইনের মেরামতির কাজে নেমে পড়েন হাওড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা, এবং দিনরাত এক করে ক্ষতিগ্রস্থ পাইপলাইনগুলির মেরামত করা হয়। যারফলে গতকাল রাত থেকেই ফের স্বাভাবিক হয়ে ওঠে হাওড়ার জল সরবরাহ ব্যবস্থা।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/25/nJuKrUgTIibVDx6Siu6F.jpeg)
কিন্তু এত বড় বিপর্যয় ঠিক কি কারণে ঘটলো, এবং ওই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কি ? তা জানার জন্য আজ সকাল থেকেই একটি রিভিউ মিটিং করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ আর্বান ডেভেলপমেন্ট এবং মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স-এর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গোলাম আলী আনসারী, এবং হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার বন্দনা পোখরিয়াল ও অন্যান্য অফিসারদের উপস্থিতিতে সংগঠিত হওয়া এই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ওই এলাকায় বসবাস করা প্রায় ৬৫টি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে স্থানান্তরিত করা হবে। এছাড়াও জরুরী ভিত্তিতে এখানকার ডাম্পারের লোড বেয়ারিং ক্যাপাসিটি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই এলাকার সয়েল টেস্টিং করার জন্য যাদবপুর ইউনিভার্সিটির একটি বিশেষজ্ঞ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পর এই সয়েল টেস্টিংয়ের রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা হবে।