নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষ্ণনগরে একজন ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে প্রাথমিক ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর। এসপি অফিসের কাছে পূজা মণ্ডপের পাশে পাওয়া যায় ওই তরুণীর মৃতদেহ। তরুণীর শরীরে গুরুতর জ্বলনের চিহ্ন পাওয়া যায়, যার ফলে তার মৃত্যুর পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। তার পরিবার অপরাধের অভিযোগ করে, দাবি করে যে তাকে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়েছে। এর ফলে পুলিশ তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার জটিলতা উন্মোচন করতে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকাকালীন শরীর পরীক্ষা করার পর পুলিশ জানিয়েছে যে ছাত্রীটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাদের মতে, কার্বন কণা তার শ্বাসনালী বন্ধ করে দিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগের বিপরীতে, কোনও অ্যাসিড আক্রমণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রথমে আত্মহত্যার ধারণার দিকে ঝুঁকে পড়ে। তবে, ঘটনাস্থলে একটি দেশলাই এবং তেলের বোতল পাওয়া গেছে যা প্রশ্ন তুলেছে, আগুন লাগানোর সম্ভাবনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছে।
আশ্চর্য হওয়ার বিষয়, ময়না তদন্তে আরও কিছু তথ্য উঠে আসে। ডাক্তাররা ওই তরুণীর শরীরে কোনও বহিরাগত আঘাত বা যৌন নির্যাতনের চিহ্ন খুঁজে পাননি, ধর্ষণ বা গণধর্ষণের বর্ণনাটি প্রত্যাহার করে। এছাড়াও, তার শ্বাস বন্ধ করার জন্য কেউ তার গলা বা মুখ চাপড়ে ধরেছিল কিনা তার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এ ধরণের প্রমাণের অভাবে তদন্ত আরও বেশি করে আত্মহত্যার ধারণার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে। তবুও ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও প্রতীক্ষিত, তার মৃত্যুর ঠিক কারণ এবং বিধি এখনও রহস্যে আচ্ছন্ন। এই অস্থির মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য ফরেনসিক এবং আঙুলের ছাপ রিপোর্টের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হবে।