নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের রাজ্যপালকে নিয়ে করা মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধিতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এক কথা আর সৌগত রায় বলছেন অন্য কথা। সরকারি রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছে কেউ মারা যায়নি এবং কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়নি। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন উভয়ই নীরব বসে আছে এবং সহিংসতা থামাতে কিছুই করছে না। আমরা রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাই। যিনি বাংলার মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন"। প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে রাজ্যপালকে রাজ্যের নির্বাচনের বিষয়ে কার্যত নাক না গলাতেই বলেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, "তৃণমূলের ৩ জন নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের অধীনে, এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। ভোটের সহিংসতা দেখাশোনা করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাজ৷ ভোট ঘোষণার পরে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই"। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার চরম বিরোধিতা করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই রাজভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সাধারণ মানুষ সহিংসতার শিকার হলে রাজভবনে সরাসরি জানাতে পারবেন। বাংলায় ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রক্তের হোলি খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই প্রাণ গিয়েছে মুর্শিদাবাদের এক কংগ্রেস কর্মীর। তারপর পরপর উত্তাল হয়েছে রাজ্যের একাধিক অঞ্চল। সবথেকে বেশি উত্তাল হয়েছে ভাঙড়। পুলিশের সামনেই চলছে গুলি, বোমা, হয়েছে দাঙ্গা মারামারি। যার জেরে একাধিক বিরোধী সমর্থকরা আহত ও নিহত হয়েছেন। আজও কোচবিহারে এক বিজেপি প্রার্থীর দেওরের প্রাণ গিয়েছে। এবারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর এই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদ করার ফলে শাসকদলের অস্বস্তির কারণ হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শাসকদলের একাধিক নেতা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় নিজেদের মত জারি করেছেন। তবে সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে যেসব স্থানে সহিংসতা ছড়িয়েছে সেই স্থানগুলিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
#WATCH | CM is saying one thing and Saugata Roy is saying something else. On the basis of govt report, State Election Commission is saying no one died and no political clash happened. Both State govt & State Election Commission are sitting silent & are not doing anything to stop… https://t.co/u0aQYS6SrG pic.twitter.com/KAjJweWbKb