নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার বাংলার উপনির্বাচনের ঠিক আগের দিন বেনজির ভিডিও প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে এক পুলিশ অফিসারকে ভোটারের বাড়ি গিয়ে ভোটের দিন বাড়িতে না থাকার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তার বিরুদ্ধে কমপ্লেন আছে বলে দাবি ওই অফিসারের। ভোটারের প্রশ্ন, 'তাহলে আমার ভোট কে দেবে?' এই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন অবশ্য বোধ করলেন না ওই অফিসার। এই ভিডিও সামনে এনে শুভেন্দু অধিকারী এর পেছনে তৃণমূলের চক্রান্ত আছে বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে জায়গা হারাচ্ছেন, সেই কারণেই মাঠে নজিরবিহীন পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। ভারত জুড়ে ১৩ নভেম্বর, ২০২৪-এ ৩১ টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের জন্য যাচ্ছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে মেদিনীপুর, তালডাংরা এবং মাদারিহাট নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা যে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছে তা কেবল বিস্ময়কর। মমতা পুলিশের এসপি ধৃতিমান সরকার যাকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ইসিআই দ্বারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মেদিনীপুর আসনটি টিএমসিকে ধরে রাখতে সাহায্য করার জন্য সমস্ত ধরণের গোপন কৌশল প্রয়োগ করছেন। তিনি নিশ্চিত করছেন যে বিজেপির বাংলার বুথ সভাপতি, পোলিং এজেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ডল স্তরের কর্মকারদের হুমকি দেওয়া/বন্দী করা, তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা ইত্যাদি। আমি আশা করি, ইসিআই, সিইও পশ্চিমবঙ্গ, মুখপাত্র ইসিআই তাদের ঘুম থেকে জেগে উঠবেন এবং বুঝতে পারবেন কীভাবে মমতা পুলিশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল পার্টি নির্বাচন লুট করে। বাস্তবতা হল তৃণমূলের কোন উপস্থিতি নেই মাটিতে, শুধুমাত্র মমতা পুলিশ যারা বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং তাদের সাংগঠনিক ছিদ্র ঢেকে রাখে। বাঁকিবাঁধ আঁচলের এই দৃশ্য একটি উদাহরণ মাত্র"। দেখুন সেই ভিডিও-
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .