নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মার। কাঠগড়ায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি। ঘটনা ঘিরে পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকে ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্থানীয় সূত্রে খবরে, বলরমপুর থানার রেজিস্ট্রি পাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা গত আট জানুয়ারি নিজের বাড়িতে গৃহস্থ কাজ করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দা যোগেন রুইদাস ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানি করে।
ঘটনায় চিৎকার শুনে প্রতিবেশী, যিনি সম্পর্কে ভাসুর রাজু দাস ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। গোটা ঘটনায় স্থানীয় বলরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই মহিলা। এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন প্রতিবাদী প্রতিবেশী রাজু দাস। লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে বলরামপুর থানা পুলিশ যোগেন রুইদাসকে গ্রেপ্তার করে ও পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করে।
ঘটনার পরেই জামিনে মুক্তি পেয়ে গতকাল যোগেন রুইদাস স্থানীয় তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের দাপুটে নেতা রফিক আনসারীকে সঙ্গে নিয়ে রাজুর দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগের পরেই যোগেন রুইদাস, রফিক আনসারি সহ তাঁর দল বল রাজু দাসকে বেধরক মারধোর করে। আহত অবস্থায় রাজু দাসকে বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজু দাসের অবস্থা আশঙ্কজনক।
নির্যাতিতা পরিবার ও রাজু দাসের পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেও পুলিশ নির্যাতিতা পরিবারকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। এরপর এই ঘটনায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে ওই পরিবারের। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে, স্থানীয় দাপুটে তৃণমূল নেতা রফিক আনসারী। পুলিশের কাছে এক যুবককে বেধরক মারধোর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।