হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : নেশায় বুঁদ! নেশাগ্রস্তদের নেশার হাত থেকে বাঁচাতে মানুষের ভরসা নেশা মুক্তি কেন্দ্রগুলি। কিন্তু সেখানেও কিনা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ! এরপরেও মানুষ হোমগুলোর ওপর ভরসা রাখবে তো! দুর্গাপুরের ঘটনায় উঠছে এমনই প্রশ্ন।
একমাত্র ছেলের নেশা মুক্তির জন্য সিটি সেন্টারের প্রণবানন্দ এভিনিউ এলাকার একটি হোমেই ভরসা রেখেছিলেন মা। প্রায় ১৮ মাস ধরে হোমেই ছিলেন দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মামরা বাজার সংলগ্ন সুভাষ পল্লীর বাসিন্দা সুমিত। মধ্যরাতে হোম থেকে একটি ফোন যায় তার মামার কাছে। সুমিতের অসুস্থতার খবর জানিয়ে বলা হয় তাকে দেখতে আসার জন্য। এরপর শনিবার সুমিতের পরিবারের লোকেরা তাকে দেখতে যেতেই দেওয়া হয় দুঃসংবাদ। জানানো হয় সুমিতের মৃত্যুর খবর। সুমিতের মায়ের অভিযোগ, ছেলেকে ঠিক করে খেতে দেওয়া হতো না। এমনকি মারধর পর্যন্ত করা হতো। তারই পরিণাম মৃত্যু। অথচ সুমিতকে থাকা-খাওয়া খরচ বাবদ ৬-৭ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হতো। সুমিতকে হোমের তরফে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখান থেকে হোমের লোকেরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপরেই সুমিতের পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে।