নিজস্ব প্রতিবেদন : ডুলুং নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর ছাত্র কুমার মাঝি। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের আট বন্ধু টোটো নিয়ে জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় কনকদূর্গা মন্দিরে ঘুরতে যায়। মন্দিরের পাশে ডুলুং নদীতে স্নান করতে নেমে তারা জলের স্রোতে ভেসে যায়। সাতজন বন্ধু উদ্ধার হলেও ১৬ বছর বয়সী কুমার মাঝি নদীর স্রোতে তলিয়ে যায়। তার বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের উত্তর বামদা এলাকায়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে নদীতে প্রবল স্রোত ছিল, যা এই দুর্ঘটনার কারণ।
কুমার মাঝি ঝাড়গ্রাম শহরের বাণীতীর্থ হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। তার তলিয়ে যাওয়ার খবর জানার পর জামবনি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ উদ্ধার অভিযানের জন্য ডুবুরি নামায় এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও ডুলুং নদীতে নেমে কুমারের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনীও উপস্থিত রয়েছে এবং প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সকলের প্রত্যাশা, দ্রুত কুমার মাঝির সন্ধান মিলবে। এখনও পর্যন্ত কুমার মাঝিকে ডুলুং নদী থেকে উদ্ধার করা যায়নি, ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কুমারের বাবা মিঠু মাঝি জানান, ছেলে স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে চিল্কিগড় গিয়েছিল। তিনি বলেন, "কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।" ঘটনাস্থলে কুমারের বাবা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত রয়েছেন, এবং তারা সকলেই কুমারের নিরাপদ উদ্ধারের জন্য উদ্বিগ্ন।