নিজস্ব প্রতিবেদন : নৈহাটির বড়মা কালীপুজো একটি ঐতিহ্যবাহী এবং জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব, যা প্রতি বছর অক্টোবরের শেষে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে, যা একটি সামাজিক ও ধর্মীয় মিলনের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।
৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হবে। এইদিন রাত ১১টায় পুরোহিত পুজোয় বসবেন এবং রাত ১টা নাগাদ অঞ্জলি দেওয়া হবে। অঞ্জলির পর ভোগ প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে, যা ভক্তদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ জাগায়। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মানতের পুজো, যা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভক্তরা নানা ধরনের মানত করেন, যেমন রোগমুক্তি, সংসার সুখ এবং শিক্ষার উন্নতি। এই মানতের পুজো কালীমায়ের প্রতি ভক্তদের আবেগ ও বিশ্বাসের পরিচায়ক।
পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় আগে থেকেই। মন্দিরে ইতিমধ্যে খাদ্য সামগ্রী যেমন চাল, ডাল, সবজি এবং অন্যান্য উপকরণ পৌঁছে গিয়েছে। এবছর প্রায় ৫ হাজার কেজি ভোগ রান্নার পরিকল্পনা রয়েছে, যা কালীমায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হবে। মিষ্টি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে, যা ভোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৩১ অক্টোবর কালীপুজোর দিন মন্দিরে সেজেগুজে সাজানো হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে পুজো সম্পন্ন হয়। ভক্তরা সকলে একত্রে এসে কালীমায়ের কাছে প্রার্থনা করেন, এবং ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পরিবেশে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে যায়।
কালীপুজোর পরের দিন ভাইফোঁটায় প্রতিমার নিরঞ্জন করা হয়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্বটিতেও ধর্মীয় রীতি পালন করা হয় এবং ভক্তরা মা কালীকে বিদায় জানান। এই উৎসবটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে। ভক্তদের মধ্যে যে আন্তরিকতা ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হয়, তা নৈহাটির এই কালীপুজোকে আরও বিশেষ করে তোলে।