গত ২ জুন চেন্নাইতে কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খড়্গপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপেছিল সারেঙ্গার আশীষ এবং তার সাথে আরো ১২ জন। তাঁরা সকলেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) স্মৃতি নিয়ে ফিরলো সারেঙ্গার এক যাত্রী আশীষ রজক। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেন্নাইতে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিল সারেঙ্গার আশীষ রজক। সেই ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উড়িষ্যার বালেশ্বর-এর কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গতকাল রাত্রে রওনা হয়েছিল তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসতে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূর থেকে আশীষকে নিয়ে আজ সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ পৌঁছায় পরিবার। সারেঙ্গায় ফিরে ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালো আশীষ, কাটল পরিবারের আতঙ্ক।
গত ২ জুন চেন্নাইতে কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খড়্গপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপেছিল সারেঙ্গার আশীষ এবং তার সাথে আরো ১২ জন। তাঁরা সকলেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সেই ট্রেন গতকাল দুর্ঘটনার খবর পড়ে উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে। তাতে চোট পায় সারেঙ্গা আশীষ। হঠাৎই ট্রেনের ঝাঁকুনি অনুভব করে আশীষ, তারপর ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে। মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আশীষ, জ্ঞান ফিরতে সে চোখের সামনে দেখে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ছবি। এরপর তার ভাইকে ফোনে জানায় দূর্ঘটনার কথা। বাড়িতে খবর পেতেই একরাশ আতঙ্ক গ্রাস করে পরিবারকে। গতকাল সন্ধ্যাতেই ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে রওনা হয় আশীষের বাবা এবং পরিবারের সদস্যরা। এরপর দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে দেখা হয় ছেলের সাথে। আতঙ্ক দূর হয় পরিবারের। আজ সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে সারেঙ্গা পৌঁছান আশীষের বাবা বামা পদ রজক। আশীষ জানায় দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা যথাসম্ভব তাদের সহযোগিতা করেছেন। তাদের সাহায্যে দুর্ঘটনাস্থল কোনওরকমে বেরিয়ে আসে সে।