বিকেল সাড়ে ৫টা! 'বাংলার শাড়ি' এবার রাজধানীতে

বাংলার শাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে! রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার রাজধানীর বুকেও ছড়িয়ে পড়বে বাংলার শাড়ি।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
োোোো

নিজস্ব সংবাদদাতা : 'বাংলার শাড়ি'! আরো একটি শোরুমের উদ্বোধন হতে চলেছে বুধবার। ঠিক বিকেল সাড়ে ৫টায়। দূর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কলকাতার জানবাজার থেকে  নিউ দিল্লির বঙ্গভবনে 'বাংলার শাড়ি' শো-রুমের শুভ উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
প্রসঙ্গত, বাংলার সাজ পোশাক মানেই বাংলার নারীদের অঙ্গে থাকবে শাড়ি। আর সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা ভেবে এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ‘বাংলার শাড়ি’ প্রকল্পের কথা প্রথম শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কমিটিও তৈরি করে দেন তিনি। বাংলার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে, তাঁত শিল্পীদের যোগ্য প্রাপ্যের লক্ষ্যেই নেওয়া হয় এধরণের উদ্যোগ।  প্রথমধাপে কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণ এবং নিউ দিঘায় দুটি জায়গায় বাংলার শাড়ির স্টল চালু হয়। এবার আরো একটি স্টলের উদ্বোধন হতে চলেছে। রাজ্য পেরিয়ে সেই স্টলের ঠিকানা দিল্লির বঙ্গভবন। রাজধানীর বুকেও এবার পৌঁছে যাবে বাংলার শাড়ি। এধরণের শাড়ির বৈশিষ্ট্য হল প্রাকৃতিক তন্তু ও হাতে বোনা, পরিবশ বান্ধব রঙের ব্যবহার, আধুনিক ডিজাইন। সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকা দামের শাড়ি মিলবে বাংলার শাড়ি স্টলে। ফলে, সমাজের সব স্তরের মানুষের পক্ষেই বাজেট সম্মত হবে শাড়িগুলি। 

বিদেশে যাচ্ছে বাংলার তাঁতের শাড়ি, সৌজন্যে তন্তুজ - Drishtibhongi  দৃষ্টিভঙ্গি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে একটি পোস্টার তৈরি হয়েছে ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে, যেখানে বাংলার শাড়িতে নজর কাড়ছেন টলিউডের জনপ্রিয় ৪ মুখ। এদের মধ্যে একজন আবার শাসকদলের নেত্রীও। পুজো পার্বণের দিন হোক বা বাঙালিদের ট্র্যাডিশনাল শাড়িগুলির মধ্যে লাল পাড়ের সাদা শাড়ির একটা আলাদা মাধুর্য রয়েছে। পোস্টারে অপরাজিতা আঢ্য ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পরণে নজর কাড়ছে এমনই দুটি শাড়ি। লাল শাড়িতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন তৃণা ভট্টাচার্য। তবে, তার পরণে সালোয়ার কামিজ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, স্বনির্ভরতা, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প - এসব কইছুই জড়িয়ে রয়েছে বাংলার শাড়ির সঙ্গে।  উৎসবের মরশুমে রাজধানীর বুকে বাংলার শাড়ির স্টল নিয়ে যেমন উন্মাদনা বাড়ছে বাঙালিদের মধ্যে, তেমনই তাঁত শিল্পীরাও সুখের মুখ দেখতে পারবেন বলেই আশাবাদী।