নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের উৎসবে যোগ দিতে পারলেন না ওপার বাংলার কবি, সাহিত্যিকেরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতারের পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাল হয়ে ওঠে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। যার জেরে ভারত ভিসা দেওয়া সীমিত করে দিয়েছে।
তাই বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে খোয়াই সাহিত্য সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে আসতে পারলেন না ওপার বাংলার 18 জন সাহিত্যিক ৷ বাংলাদেশের সতীর্থদের অনুপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ করলেন এপারের কবি-সাহিত্যিকরা ৷
খোয়াই সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক তথা এই আন্তর্জাতিক উৎসবের অন্যতম প্রধান আয়োজক কিশোর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশ ভবন ও খোয়াই সাহিত্য সংস্কৃতির যৌথ উদ্যোগে দু'দিনের আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা ও হৃদয় মিলন উৎসবের আয়োজন করেছি ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি-সাহিত্যিক, লেখকরা এসেছেন ৷ তবে বাংলাদেশের ১৮ জন সদস্য আমাদের আসতে পারেননি ৷ তাঁরা ভিসা পাননি ৷ আমরাও ওদেশের পরিস্থিতির জন্য আসতে বারণও করেছি ৷ তবে তাঁরা আসতে না পারায় খারাপ লাগছে ৷ আশা করি, আগামীতে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ৷"
অন্যদিকে, বাংলাদেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষী স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের শত্রু ভারত আর বন্ধু পাকিস্তান, এই প্রসঙ্গত সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার মুখে শোনা গিয়েছে। নানা ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করা হচ্ছে। তবে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শুধু হিন্দু হওয়ার অপরাধে পদত্যাগ করতে হয়েছে।